শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে বিজেপির মিছিল , পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :-শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আবারো বিজেপির তরফেবাঁারাবনী ইটাপাড়া এলাকায় শান্তিপূর্ণ মিছিল সহ ডেপুটেশন কর্মসূচি এর ডাক দেওয়া হয় আর এই কর্মসূচি ঘিরে বারাবনি থানার ইটাপাড়া খোলামুখ খনি এলাকায় হঠাৎ উত্তেজনার আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলকে । যার ফলে মিছিল এগিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে তীব্র বচসা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।




বিজেপির অভিযোগ,পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে, যার ফলে বেশ একজন আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে,এই এলাকায় কোনো মাইনিং অফিস না থাকায় মাইনিং কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা শুধুমাত্র বোঝানোর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছে।এই ঘটনা বারাবনির শান্ত মাটিতে এক অশান্ত ঢেউ তুলেছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্যে জানান, শ্রমিকদের অধিকারn আদায়ের জন্য এর আগেও তারা আন্দোলন করেছেন,কিন্তু প্রতিবারই বাধার মুখে পড়েছেন।এবারও তারা ঘোষণা করেছিলেন যে শ্রমিকদের দাবি নিয়ে মিছিল করবেন এবং মাইনিং কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি পত্র তুলে দেবেন। তিনি বলেন, এই মিছিলের মধ্য দিয়ে বারাবনির মানুষের কাছে তাদের সংগঠনের শক্তি ও শ্রমিকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার পৌঁছে গেছে। তবে এই ঘটনা শুধু শ্রমিকদের দাবির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং রাজনৈতিক উত্তেজনার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
দেবতনু ভট্টাচার্য এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বারাবনি ব্লক সভাপতি অসিত সিংকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, আগামী জুলাই মাসে অসিত সিংয়ের বাড়ির সামনে এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হবে। তিনি বলেন, এই সমাবেশ আটকানোর সাধ্য থাকলে অসিত সিং চেষ্টা করে দেখুন। এই চ্যালেঞ্জ শুধু একটি রাজনৈতিক বার্তা নয়, বরং ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বারাবনির রাজনৈতিক মাটি যে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে চলেছে, তারই আগাম সংকেত।
বারাবনির এই ঘটনা কেবল একটি মিছিল বা সংঘর্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।এবিষয়ে অসিত সিং জানিয়েছেন এটা বরাবরই স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায়ের সুপুত্র বিধান উপাধ্যায় এর ঘাটি ,এই এলাকায় বরাবর শান্ত পরিবেশ রয়েছে ।কিন্তু ২০২৬ নির্বাচন আসার আগেনিজেকে টিভির সামনে আমার জন্যে কিছু চুনোপুটি লাফালাফি শুরু করে দেয় ।সারাবছর এদের দেখা যায়না ইদুরের মত গর্তে ঢুকে থাকে যেই কোন ভোট আসে তখন এদের মানুষের কথা মনে পড়ে।তবে বারাবনি বিধানসভা বরাবরই শান্তসৃষ্ট এলাকা এই এলাকায় কেউ অশান্ত পরিবেশ তৈরি করতে চাইলে তা আইন আইনের মতন দেখবে ।তাছাড়া বারাবনী বিধান সভায় এলাকার মানুষ জানে করা মানুষের জন্যে কাজ করে আর কারা ভাউতা বাজি করে ।