RANIGANJ-JAMURIA

ফল সবজির বাস্কেটের আড়ালে ৯০ – ৯৫ কিলো গাঁজা পাচার

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : মাছের পেটির পর, এবার গাঁজা পাচারের জন্য খালি ফল ও সবজি রাখা কনটেনার বোঝায় ট্রাককে ব্যবহার করার তথ্য সামনে আসতেই সক্রিয় হলো গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ টিম। রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এর জামুড়িয়া থানা এলাকার শ্রীপুর ফাঁড়ির চাঁদা সার্ভিস রোডে একটি ফল সবজির বাস্কেটের আড়ালে এই ব্যাপক পরিমাণ গাঁজা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে অতর্কিতে জামুড়িয়ায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ধাওয়া করে। পরে ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের বিশেষ অভিযানে জামুরিয়া থানার পুলিশ আটক করেছে গাঁজা। এই মুহূর্তে সেই গাঁজা বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে উড়িষ্যা থেকে এই গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, পশ্চিম বর্ধমান দিয়ে বিভিন্ন প্রান্তে। এই ঘটনায় গাড়ির চালক ও গাঁজা পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কি পরিমান গাঁজা রয়েছে সে বিষয়গুলি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে ফল বা সবজির আড়ালে এই গাঁজা পাচারের পরিকল্পনা চলছিল। তবে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তৎপর থাকায় এই পাচার প্রক্রিয়া রাস্তার মাঝেই ধরা পড়ে। কারা কারা এর সঙ্গে আরও যুক্ত রয়েছে এই পাচার চক্র কতটা দূর পর্যন্ত বিস্তৃত, সে সকল বিষয়গুলি নিয়েও তদন্ত চলছে।

জানা গেছে ধৃতদের মধ্যে একজন বাণপুরের নিউ টাউন এর বাসিন্দা জিতেন্দ্র প্রসাদের কাছে এই গাঁজা নিয়ে আসছিল উড়িষ্যার কালিয়া নায়েক। এদিন শেষ পাওয়া খবরে দুই অভিযুক্তকে সামনে রেখেই ওই সকল পেটি ছড়িয়ে তিনটি বস্তার মধ্যে প্রায় ৫০ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বেশিরভাগ প্যাকেটেরই ওজন এক কিলো সাড়ে আটশ থেকে এক কিলো 900 গ্রামের মতো রয়েছে। সকল মিলিয়ে প্রায় ৯০ – ৯৫ কিলো গাঁজা আটক করা হয়েছে। সমগ্র এই আটক প্রক্রিয়ায় বিশেষভাবে উপস্থিত রয়েছেন সার্কেল ইন্সপেক্টর সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, জামুরিয়া থানার ওসি সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি মেরাজ আনসার ী সহ ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *