PANDESWAR-ANDAL

কয়লা বোঝায় ট্রাক উল্টে বিপত্তি

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, পাণ্ডবেশ্বর : পাণ্ডবেশ্বরের ইসিএলের বাঁকোলা এরিয়ার শ্যামসুন্দর পুর এমডিও প্রজেক্ট এর কয়লা বোঝাই গাড়ি উল্টে পড়লো রাস্তার পাশের মাঠে। যদিও সৌভাগ্যবশত গাড়ির চালক ও খালাসি অক্ষত অবস্থাতেই রয়েছে। শুক্রবার রাত্রিবেলা কয়লা বোঝাই করে কয়লা বোঝায় গাড়িটি যাচ্ছিল সাইডিং এর উদ্দেশ্যে। শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির এলাকার আবাসন থেকে একটু দূরেই রাস্তার পাশে উল্টে যায় কয়লা বোঝাই গাড়ি। জনবহুল ওই স্থানে রাত্রিবেলায় এই ঘটনা ঘটায় কোন প্রাণহানি হয়নি। তবে এই জনবহুল রাস্তার উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত বহু মানুষ যাতায়াত করেন, যাতায়াত করে ইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রী রাও। ঘটনা প্রসঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলা বীরভূম থেকে আসা শিশির সাঁই নামে এক দিনমজুর জানান, তিনি প্রত্যেকদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন, বীরভূম থেকে আসেন পশ্চিম বর্ধমানের এই এলাকায়। বর্ষার সময়ে এই রাস্তাটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ইদানিং তাদের গ্রামের একেবারে কাছেই তৈরি হয়েছে বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এমডিও প্রজেক্ট। যেখান থেকে কয়লা কেটে কয়লা বোঝায় গাড়িগুলি প্রতিদিন গ্রামের একেবারে উপর দিয়েই সাইডিং এর উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। ১০ চাকা থেকে শুরু করে ১২ চাকা ১৬ চাকার লরি ও এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে প্রতি সময়। অথচ এই রাস্তা এত ভারী যান চলাচলের জন্য তৈরি হয়নি । সে কারণেই বর্ষায় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও খানাখন্দে পরিপূর্ণ হয়েছে।

রাস্তার দুপাশেই রয়েছে জনবসতি , বহু দোকান। রাস্তা এতটাই সংকীর্ণ যে বড় বড় কয়লা বোঝায় গাড়ি রাস্তার উপর উঠলেই সাইড দেওয়ার জায়গা থাকে না, ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এই নিয়ে বারবার কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষকে বলার পরও কোন কাজ হয়নি বলে দাবি। মসজিদ কমিটির আশঙ্কা যেকোনো সময় এই রাস্তা কেড়ে নিতে পারে নিরীহ প্রাণ। অথচ প্রজেক্ট তথা কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন। স্থানীয়দের একাংশের প্রশ্ন তাহলে কি ইসিএল কর্তৃপক্ষ কোন নিরীহ মানুষের প্রাণ যাওয়ার জন্যই অপেক্ষা করছেন? কেন দ্রুত মেরামত করার ব্যবস্থা করছে না রাস্তা ? এর পিছনে কি কোন রাজনৈতিক কারণও রয়েছে? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *