আসানসোলে ২১শে জুলাইয়ে সমর্থনে মিছিল ও সভা, বিজেপিতে ভাঙন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Asansol News Today ) আগামী ২১শে জুলাই কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেস শহীদ দিবস পালন করবে। হবে সমাবেশ। সেই সমাবেশের প্রচারে রবিবার আসানসোল শহরের জিটি রোডে আসানসোল উত্তর ব্লকের উদ্যোগে রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটকের নেতৃত্বে একটি মিছিল বার করা হয়। এই সমাবেশটি আসানসোলের জিটি রোডের গীর্জা মোড় থেকে শুরু হয়ে রাহালেন তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ের কাছে ট্র্যাফিক মোড এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে একটি সভাও হয়। মিছিল ও সভায় মলয় ঘটক ছাড়াও জেলা সভাপতি পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা চেয়ারম্যান তথা জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, সহ-সভাধিপতি বিষ্ণু দেব নুনিয়া, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় সহ ব্লক নেতৃত্ব, বোরো চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলাররা উপস্থিত ছিলেন। মিছিলে বিপুল সংখ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকেরা ছিলেন।




এই সভায় আসানসোল পুরনিগমের কুলটি এলাকার ১৯ নং ওয়ার্ডের গত পুর নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী রাম বাউরি শতাধিক কর্মী নিয়ে দলবদল করে তৃনমুল কংগ্রেসে যোগ দেন। মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে তার হাতে দলের পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। জেলা সভাপতি বলেন, শুধু আসানসোল বা কুলটি নয়, এই জেলার সব বিধানসভার উন্নয়ন চান, এমন মানুষেরা এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছেন। আগামী ২১ শে জুলাইয়ে সমাবেশে আমরা সবাইকে যোগদান করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে, মন্ত্রী মলয় ঘটক সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের ২১শে জুলাই কলকাতা যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা সকলেই জানি ১৯৯৩ সালের ২১শে জুলাই কি ঘটেছিল। স্বচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহাকরণ অভিযান হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লক্ষ লক্ষ কর্মী মহাকরণের দিকে যাত্রা করেছিলেন। তা দেখে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এবং তার সরকারের আধিকারিকদের ঘুম উড়ে যায়। তাই, পুলিশ গুলি চালিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করে। তাতে ১৩ জন নিহত হন। এর পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি বছর ২১শে জুলাই সেই ১৩ জন শহীদের স্মরণে একটি সমাবেশ করছেন।
মলয় ঘটক আরো বলেন, ৩৪ বছর ধরে বামপন্থীরা ভোট প্রক্রিয়া কারচুপি করে ক্ষমতায় ছিল। বামেদের শাসনাকালে নির্বাচন ভালোভাবে হয়নি। তখন নির্বাচনের নামে প্রহসন ছিলো। ভোট চুরি করা হয়েছিল। মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আর এই কাজ করে বামপন্থীরা ৩৪ বছর ধরে শাসন করেছে। কিন্তু তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্ব কখনও এর তীব্র বিরোধিতা করেনি। দিনের আলোয় তারা বামপন্থীদের বিরোধিতা করার ভান করতো। কিন্তু রাতে বিরোধিতার মুখোশ খুলে যেত। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন ছিলেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামপন্থীদের শাসনের অত্যাচার সহ্য করেছেন এবং তার প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ আজ বামপন্থীরা ক্ষমতা থেকে দূরে। তিনি সমস্ত টিএমসি কর্মীদের ২১শে জুলাই অবশ্যই কলকাতায় পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ যদি কোনও তৃনমুল কর্মী ২১শে জুলাই কলকাতার ধর্মতলায় না যান, তাহলে ভেবে নিতে হবে যে, সে মোটেই তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মী নন।