দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলের অদূরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে হোর্ডিং, শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ এক সময়কার ভারতের রুঢ় বলে পরিচিত ছিলো শিল্প নগরী দুর্গাপুর। এখন শিল্প নগরী শ্মশান ভূমিতে পরিনত হয়েছে বলে, দাবি করা হয়। অনেক শিল্প এখানে বন্ধ হয়ে গেছে। টিমটিম করে জ্বলছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বা ডিএসপি। সেই দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর প্রধান প্রবেশ পথ হলো গান্ধী মোড়। যেখানে রয়েছে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী মূর্তি। সেই গান্ধী মোড়ের অদূরে নেহেরু স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিকেলে জনসভা করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রধানমন্ত্রী আসার কয়েক ঘন্টা আগে এদিন সকালে দেখা গেলো একটি হোর্ডিং । তাতে লেখা “ ভাঁওতাবাজী সইবে না বাংলা । দুর্গাপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলি খুলবে কবে মোদী তুমি জবাব দাও । ব্যানারে রয়েছে মাথা নিচু করা মোদীর ছবি ।




আর এই হোর্ডিং নিয়েই সকাল থেকে শুরু হয় রাজনৈতিক চর্চা ও বিতর্ক । এই হোর্ডিং দিল কে ? কারো নাম লেখা নেই এই হোর্ডিংয়ে। কোন দলের নামও নেই সেখানে।
তবে বিজেপি শিবিরের কথায় প্রধানমন্ত্রী আসার আগে এমন কাজ তৃণমুল কংগ্রেসই করেছে । রাজ্যে ধর্ষণ বেড়েছে। অসামাজিক কাজ বেড়েছে। আর দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করছে তৃণমুল কংগ্রেস। যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উন্নয়নের ডালি নিয়ে আসছেন দুর্গাপুরে।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমুল কংগ্রেস অবশ্য বিজেপির অভিযোগের কড়া ভাষায় জবাব দিতে দেরী করেনি ।
তৃণমুল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপির কাছে ভদ্রতা শেখার প্রয়োজন নেই। কারন অভদ্র দলের কাছে ভদ্রতা শেখা যায় না । দুর্গাপুর তার নিজের মনের কথা বলেছে । দম থাকে তো প্রধানমন্ত্রী এদিনের জনসভায় বলে যান বন্ধ কারখানা কবে খুলবে? আর আজই প্রমাণ হয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি করতে দুর্গাপুরে এসেছেন।