প্রধানমন্ত্রীর সভা হওয়ায় বেহাল স্টেডিয়াম, ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদ তৃনমুলের জেলা সভাপতির
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ কয়েক ঘন্টার জন্যে শুক্রবার বঙ্গ সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বিকেলে জনসভা করেছিলেন দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা সেলের নেহেরু স্টেডিয়ামে। সেখানে বড় চারটি হ্যাঙ্গার বসানো ও প্যান্ডেল করা হয়েছিলো। বর্তমানে সেই নেহেরু স্টেডিয়ামের অবস্থা একেবারে বেহাল। বৃষ্টিতে জল কাদায় পরিপূর্ণ। তাই দুর্গাপুরের ঐতিহ্যশালী এই স্টেডিয়ামের বেহাল দশার কারণে শনিবার সকালে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদ জানালেন।




এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্গাপুরের সংস্কৃতি, দুর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম নেহেরু স্টেডিয়াম। দুর্গাপুরে অনেক বড় বড় মাঠ আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সভা না করে, এই স্টেডিয়ামে করা হলো। ২৪ ঘন্টা পার হতে চললেও, কিছু করা হয়নি। তার কটাক্ষ, যে শহরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভা করলেন, সেখানে বন্ধ থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা খোলার ব্যাপারে কিছু বললেন? না বলেন নিন। আসল কথা হলো, বাংলার মানুষদেরকে ভাঁওতা দিয়ে ২০২৬ এ ক্ষমতা দখল করাই তা উদ্দেশ্য। তবে, তা কোনদিনই হবে না।
এদিন তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন অবিলম্বে যদি যদি নেহের স্টেডিয়াম ঠিকঠাক না হয়, আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।এদিকে, শাসক দলের জেলা সভাপতির এই ধানের চারা রোপণ করাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, এটা ওনার দিদির ( মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃনমুল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) গুড বুকে থাকার একটা কৌশল মাত্র। আসল কথা হলো, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সভায় তিন লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। যা দেখে তার কাল সারারাত ঘুম হয়নি। তাই তিনি সকাল সকাল স্টেডিয়ামে ধানের চারা পুঁততে চলে এসেছেন। বিজেপি নেতা আরো বলেন, শুক্রবার সভা শেষ হওয়ার পর থেকে দলের কর্মীরা কাজ করছেন। দ্রুত সবকিছু আগের মতো করে দেওয়া হবে।