উচ্চ মাধ্যমিকে বড়সড় বদল! উত্তরপত্র পেয়েই করতে হবে এই কাজ, অন্যথায় বাতিল হবে পরীক্ষা জানিয়ে দিল পর্ষদ
অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়
সংসদ জানিয়েছে, ওএমআর শিট সঠিকভাবে পূরণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি রোল নম্বর বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুলভাবে লেখা হয়, তাহলে সেই উত্তরপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন ছাত্রছাত্রীদের ওএমআর শিট পূরণের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সংসদের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই ওএমআর শিটের একটি সফট কপি আপলোড করা হয়েছে।
পরীক্ষার খাতা পেয়েই করতে হবে এই কাজ বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নিয়মে বড় পরিবর্তনের পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আর উত্তরপত্রে নাম লিখতে হবে না। তার বদলে এখন থেকে পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং প্রশ্নপত্রের সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
এই নতুন নিয়ম ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলা তৃতীয় সিমেস্টার পরীক্ষার ক্ষেত্রেই প্রথমবার কার্যকর হবে। ভট্টাচার্য জানান, অতীতে এই নিয়ম চালু থাকলেও পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা হয়েছিল। এবার আবার সেই পুরনো নিয়মেই ফিরছে সংসদ, তবে আধুনিকীকরণের ছোঁয়ায় কিছু সংযোজন হয়েছে।




নতুন পদ্ধতির লক্ষ্য হল পরীক্ষার স্বচ্ছতা বাড়ানো এবং উত্তরপত্র হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমানো। নামের পরিবর্তে রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর লেখায় পরীক্ষার্থীদের পরিচয় গোপন থাকবে এবং সঠিকভাবে মূল্যায়ন সম্ভব হবে।
শুধু তা-ই নয়, সংসদ জানিয়েছে, ওএমআর শিট সঠিকভাবে পূরণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি রোল নম্বর বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুলভাবে লেখা হয়, তাহলে সেই উত্তরপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন ছাত্রছাত্রীদের ওএমআর শিট পূরণের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়।
পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সংসদের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই ওএমআর শিটের একটি সফট কপি আপলোড করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযোগ পাবে এবং বাস্তব পরীক্ষায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে। সংসদের এই উদ্যোগ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার গঠন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন শাসক দলের শিক্ষক সংগঠনের কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে শহরের ছাত্র -ছাত্রীরা অনেক আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে পড়াশুনা করে এবং বেশিরভাগ শহরের ছাত্র ছাত্রীরা বেসরকারি স্কুলে পরে ফলে অতি অল্প বয়স থেকেই তারা কম্পিউটার, OMR শিট এই বিষয়ে রপ্ত কিন্তু সেদিক থেকে গ্রামবাংলা ও শহরতলির স্কুলে আধুনিকতার প্রশিক্ষণ তো দূরের কথা পর্যাপ্ত শিক্ষককের অভাবে পঠন পাঠনের অবস্থা শোচনীয়। শিক্ষামহল এই আধুনিকীকরণ কে সাধুবাদ জানালেও পর্ষদের এই নীতি “বজ্র অটুনি ফষ্কা গেরোয় ” না পরিণত হয় এই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষকমহল, কারণ যেখানে প্রতিবছর ব্যাপক খাতা হারানোর ঘটনা দেখা যায় সেখানে নতুন এই প্রচেষ্টার ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট দ্বিধাগ্রস্ত শিক্ষামহল।