অবৈজ্ঞানিকভাবে মাটি তুলে নেওয়ায় তৈরি হওয়া গর্তের জলে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, অন্ডাল :- অন্ডাল থানার অন্তর্গত শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারি এলাকার দুই শিশু রবিবার সন্ধ্যা ৪ টা নাগাদ শিশু খেলতে বেরিয়ে একটা জলাশয়ের জলে ডুবে যায় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায় । সূত্র মারফত জানা যায় পাণ্ডবেশ্বর থানার অন্তর্গত শ্যামসুন্দর পুর গ্রামের গা ঘেঁষে ইসিএলের রেল করিডর তৈরী হচ্ছে। এই রেল করিডর ইসিএলের ঝাঁঝরা এরিয়া থেকে বাকোলা এরিয়ার সাইডিং এ এসে মিশছে । আরে এই রেল করিডোর তৈরি করার জন্য আশেপাশে জায়গা থেকে জেসিপি লাগিয়ে বড় বড় গর্ত করে অবৈজ্ঞানিকভাবে মাটি তুলে নেওয়ায় জায়গায় জায়গায় তৈরি হয়েছে বড় বড় জলাশয়। আর সেই জলাশয় থেকে উদ্ধার দুই শিশুর মৃতদেহ। দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে শোকের ছায়া এলাকায়।




ঘটনায় মৃত শিশু রোশন পাশওয়ানের বাবা রোহিত পাসোয়ান জানান, তার ছেলে রোশন উখড়া আদর্শ হিন্দি হাই স্কুলের ছাত্র, সে রবিবার বিকেল বেলা কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে খেলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকেল সাড়ে চারটায় পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রাত্রি আটটা পর্যন্ত যখন রোশনের কোন খবর পাওয়া না যাওয়ায়, তখন জানা যায় তার সঙ্গে আরও এক শিশু ছিল। তাদের সঙ্গে খেলতে যাওয়া আরো দুই শিশুরা জানায় শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের রেল লাইনের ধারে একটা জলাশয়ের ধারে গেছিল। তারপরও অনেক রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পর রাত ১১টা নাগাদ দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয় একটা রেল লাইনের পাশেই থাকা জলাশয় থেকে। মৃত রোশনের বাবা আর রোহিত বাবু জানান, ই সি এল রেল লাইন তৈরির জন্য অবৈজ্ঞানিকভাবে চারি পাশের মাটি কেটে গর্তর সৃষ্টি করেছে।
আর এই প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে সেই গর্তগুলি মরণ কুপে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন আজ তার ছেলের এই করুণ পরিণতি হল আগামী দিনে আরো কারো এরকমটা যেন না হয়। এছাড়াও ওইসব এলাকায় প্রচুর গবাদি পশু বিচরণ করে তারাও ওই ধরনের গর্তে পড়ে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। দুই শিশুর অকাল এই করুন পরিণতির জন্য ইসিএল এর এই ধরনের অমানবিক কাজ কর্মের দিকেই আঙ্গুল তুলছেন এলাকার একাংশ। যদিও এই বিষয়ে ইসিএলের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মৃতদেহ উদ্ধার করে উখরা আউটপোস্টের পুলিশ। মৃত দুই শিশুর নাম রোশন পাসোয়ান (১১) ও আদর্শ হরিজন (৮), কিভাবে কেন জলাশয়ের ধারে গিয়েছিল দুই শিশু এবং এই মৃত্যুর পিছনে কি কারন রয়েছে সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখছে অন্ডাল থানার পুলিশ।