ASANSOL

আসানসোলে এটিএমে কার্ড আটকে উধাও ২৫,৫০০ টাকা, চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ এটিএমে কার্ড আটকে কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে উধাও ২৫,৫০০ টাকা। গত ১৭ আগষ্ট সকালে আসানসোলের বার্নপুর রোডের কোর্ট মোড়ের অদূরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের পাশে একটি রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাঙ্কের এটিএমে এই ঘটনাটি ঘটেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আসানসোল দক্ষিণ থানার ডুরান্ড হল এলাকার লোকো কলোনির বাসিন্দা তন্ময় আঢ্য নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে এই সাইবার প্রতারণার ঘটনাটি ঘটেছে।

তিনি ঘটনার দিন প্রথমে আসানসোল সাইবার থানায় এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরে হিরাপুর থানায় জিডি বা জেনারেল ডায়েরি করেন। এর পাশাপাশি যে বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঐ এটিএম কার্ড ছিলো, তিনি সেখানেও গোটা বিষয়টি জানান। কিন্তু ১০ দিনেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও, তন্ময়বাবু টাকা ফিরে পাননি বা পুলিশ ও ব্যাঙ্কের তরফে তাকে কিছু জানানো হয়নি।

স্বাভাবিক ভাবেই তিনি যথেষ্টই চিন্তা ও উদ্বেগের মধ্যে আছেন। বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে তন্ময় আঢ্য বলেন, আমি গত ১৭ আগস্ট রবিবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ বার্নপুরে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় বার্নপুর রোডে কোর্ট মোড়ের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালের পাশে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্য দাঁড়াই। ৭ টা ৪৯ মিনিটে আমি ২০০০ টাকা তোলার জন্য এটিএমের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। কিন্তু টাকা এটিএম থেকে টাকা বেরোয়নি। এমনকি আমার কার্ডটি এটিএমে আটকে যায়। তখন আমি এটিএম থেকে কার্ড বার করার চেষ্টা করি। কিন্তু কার্ড আটকে যায়। তিনি আরো বলেন, তখন এটিএমের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য একজন এটিএমের ভিতরে এসে আমাকে এটিএমের ভিতরের একটি মোবাইল নম্বরে কল করার পরামর্শ দেন।

আমি ঐ নম্বরে কল করি। তখন আমাকে বলা হয় যে আজ রবিবার। তাই এটিএম ইঞ্জিনিয়ারদের আসতে কিছুটা সময় লাগবে। তাই আমি যেন আমার কাজ শেষ করে এটিএমে ফিরে আসি। ততক্ষণে তার এটিএম কার্ড বার করা হবে। এরপর আমি বার্নপুর বাজারে যেতে শুরু করি। তখন যাওয়ার সময়, আমার মোবাইলে পরপর তিনটি ম্যাসেজ আসে। যার মাধ্যমে আমি জানতে পারি যে পরপর তিনবার আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫৫০০ টাকা তোলা হয়েছে। ৮ টা ১৬ মিনিটে ১০ হাজার, ৮ টা ১৭ মিনিটে ১০ হাজার ও ৮ টা ২০ মিনিটে ৫ হাজার ৫০০ টাকা তোলা হয়েছে। এর পরে আমি যখন সেই এটিএমে ফিরে আসি, তখন দেখতে পাই যে তার কার্ডটি নেই।

এর পরে, তিনি আসানসোল সাইবার থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সাইবার থানার পুলিশ অফিসাররা তাকে পরামর্শ দেন যে এটিএমটি রয়েছে হিরাপুর থানা এলাকায়। তাই তিনি যেন এই ঘটনাটি হিরাপুর থানায় জানান। এরপর তিনি হিরাপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তিনি যে বেসরকারি ব্যাংকের একাউন্ট ও এটিএম কার্ড সেই ব্রাঞ্চেও অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়। তিনিও তাই করেন। কিন্তু সেই ঘটনা ও অভিযোগ দায়ের করার পরে ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও তন্ময় আঢ্য তার টাকা বা এটিএম কার্ড কোনটাই ফিরে পাননি।এই প্রসঙ্গে, সাইবার থানা ও হিরাপুর থানার পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে ঐ বেসরকারি ব্যাঙ্কের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *