আসানসোলে পিএইচই অফিসে ঠিকাদারদের অবস্থান বিক্ষোভ, বকেয়ার দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে স্মারকলিপি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* কাজ করার পরেও, বছরের পর বছর ধরে মিলছে না টাকা। তাই দুর্গাপূজোর আগে বকেয়া টাকার দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোলের ইসমাইলের রহমতনগর সংলগ্ন পিএইচই বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ( আরসিএফএ ডিভিশন ১) অবস্থান বিক্ষোভ দেখালেন ঠিকাদাররা। পরে তাদের তরফে মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রুপম ঘোষকে দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। এদিনের আন্দোলন ও দাবি সম্পর্কে ঠিকাদার মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও অসিত মল্লিক বলেন, আমরা এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি।




জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা ২০২২ সালের লোকসভা উপনির্বাচন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং পরবর্তী পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল সরবরাহ করেছিলাম। কিন্তু কোন ট্যাঙ্কার মালিক এখনও সেই টাকা পাননি। তদুপরি, জল জীবন মিশনের আওতায়, ট্যাঙ্কার মালিকরা জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল সরবরাহ করেছিলাম। তার অর্থ এখনও বাকি রয়েছে। প্রশাসন ট্যাঙ্কারগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নগণ্য পরিমাণ অর্থ দিচ্ছে। ফলস্বরূপ, আমরা আমাদের কর্মীদের বেতন দিতে পারছি না। তারা আরো বলেন, অনেক ঠিকাদার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। তাদেরকে বারবার ব্যাঙ্ক থেকে সেই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি আমাদের জন্য অস্তিত্বের সংকট তৈরি করছে। মৃত্যুঞ্জয়বাবুরা বলেন, আমরা জল জীবন মিশন প্রকল্পের অধীনেও জল সরবরাহ করি। এই প্রকল্প কেন্দ্র না রাজ্য সরকারের , তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা জল সরবরাহ করতাম। যারা, কাজ করেন, তাদেরকে মজুরি ও বেতন দেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এই আর্থিক সংকটের কারণে আমাদর পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।
তারা বলেন যে প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে প্রায় ১৫০ জন ঠিকাদার ও তাদের অধীনে কাজ করা কয়েকশো কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সবমিলিয়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে ঠিকাদাররা দাবি করেছেন। তাদের দাবি, পরিস্থিতি বদল না হলে, শেষ পর্যন্ত সমস্ত ধরনের কাজ থেকে আমাদেরকে অব্যাহতি নিতে হবে। এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ঠিকাদারদের দাবি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি। তবে তিনি ঠিকাদারদের আশ্বস্ত করেন যে, গোটা বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানাবেন।