আসানসোল গ্রামের ২৯১ বছরের দুর্গাপূজোর শেষে রীতি মেনে সিঁদুর খেলা ও বিসর্জন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়/ সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: * সারা বাংলায় দুর্গাপূজো ধুমধামের সাথে পালিত হলো। আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কমিটি জমকালো দুর্গাপূজোর আয়োজন করেছে। কিন্তু, তার মধ্যে আসানসোল গ্রামের দুর্গাপূজো অনন্য। আসানসোল গ্রামে একসঙ্গে ৮ টি দুর্গাপূজো ২৯১ বছর ধরে দুর্গাপূজো পালিত হয়ে আসছে। ঐতিহ্য, সাবেকিয়ানা ও রীতি মেনে আসানসোল গ্রামে দুর্গাপূজো হয়। বিজয়া দশমীতে মহিলাদের সিঁদুর খেলা এই পুজোর অন্যতম ঐতিহ্য। দেবী দুর্গার চরণে সিঁদুর নিবেদন করা হয়। এরপরে মহিলারা একে অপরের মাথার সিঁথিতে এই সিঁদুর লাগান। যা বিবাহিত মহিলাদের সৌভাগ্যের প্রতীক।



বৃহস্পতিবার সকালে বিজয়া দশমী উপলক্ষে, আসানসোল গ্রামের মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন। আশপাশের এলাকার মহিলারাও তাতে যোগ দেন। দোলা বা নবপত্রিকা বিসর্জনও হয়। যা দুর্গাপূজো উদযাপনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই উপলক্ষে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বার করা হয়। যাতে আসানসোল গ্রামের সকল বাসিন্দারা অংশগ্রহণ করেন। যা গোটা এলাকা ঘুরে রামসায়ের পুকুরে এসে শেষ হয়। রাতে হয় ৮টি দুর্গাপূজোর প্রতিমা নিরঞ্জন। রামসায়ের পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে রামসায়ের মাঠে হয় আতশবাজি প্রদর্শনী।
বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবী এবং আসানসোল গ্রাম দুর্গাপূজো কমিটি ও আসানসোল গ্রাম শ্রী শ্রী নীলকণ্ঠেশ্বর জিউ দেবোত্তর ট্রাস্টের সভাপতি শচীন রায়ও শোভাযাত্রায় যোগ দেন। তিনি বলেন, আসানসোল গ্রামের এই পুজো শুরু করেছিলেন নকড়ি ও রামকৃষ্ণ রায়। যারা বলতে আসানসোলের প্রতিষ্ঠাতা। প্রথমে এই গ্রামে একটা পুজো হতো। পরে আস্তে আস্তে সেই পুজোর সংখ্যা বেড়ে ৮ হয়েছে। থিম ও আধুনিকতার যুগে আসানসোল গ্রামের দুর্গাপূজো আজও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। তিনি দুর্গাপূজোর শেষে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান, সকলের জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক বলে দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেন।