দুর্গাপুরে নাবালিকার বিয়ে আটকালো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, মায়ের কাছ থেকে নেওয়া হলো মুচলেকা
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ চুপিচুপি নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় চলছিল বাড়িতে। তার পরিবারের লোকজনেরা ভিন রাজ্যে পাত্রের কাছে পাঠানোর সমস্ত বন্দোবস্তও প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন। সেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল মাত্র তিন দিন পরেই। কিন্তু ঠিক তখনই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে হাজির হন দুর্গাপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। তাদের হস্তক্ষেপে মুহূর্তের মধ্যে ভেস্তে যায় নাবালিকার বিয়ের ছক। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের সগড়ভাঙ্গার ঘুষিকডাঙা এলাকায়।



স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সূত্রে খবর, সগরভাঙ্গার ঘুষিকডাঙ্গার বাসিন্দা ঐ নাবালিকার বাবা মারা গেছেন। তাই মা নাবালিকা কন্যার ভিন রাজ্যে বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল গোপনে। খবরটি পৌঁছে যায় দুর্গাপুরের ঐ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে। সংস্থার কর্ণধার শিল্পী পাল বলেন, “আমাদের কাছে গোপনে খবর আসে যে সগরভাঙা এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। এরপরে বুধবার সন্ধ্যায় আমরা ঐ নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছাই।সঙ্গে যায় পুলিশ।
ঐ নাবালিকার পরিবারের কাছ থেকে জানতে চাই কেন ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে? গোটা বিষয়টি বলে নাবালিকার মা সহ গোটা পরিবারকে সতর্ক করা হয়। তাদেরকে জানানো হয় যে, আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পূর্ণ না হলে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায় না। এই ভাবে বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ। শিল্পী পাল আরো বলেন, “আজ যদি আমরা চুপ থাকতাম, তাহলে হয়তো আরেকটি শিশুর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যেত। ওর মা কথা দিয়েছে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবেন না আর। মুছলেখাও নেওয়া হয়েছে তার মায়ের কাছ থেকে । তিনি আরো বলেন, সমাজকে বদলাতে হলে সচেতন হতে হবে। না হলে, এইভাবে অনেক নাবালিকার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে।