SIR এর আগে ১০ টি জেলার ডিএম বদলি, ৬৪ জন আধিকারিককে বদলির নির্দেশ
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ করে SIR ঘোষণার ঠিক আগেই রাজ্যে একটি বড় ধরনের প্রশাসনিক রদবদল করা হয়েছে। নবান্ন থেকে জারি করা চারটি পৃথক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মোট ৬৪ জন আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০টি জেলার জেলাশাসক (ডিএম), অতিরিক্ত জেলাশাসক (এডিএম) এবং বিভিন্ন সরকারি বিভাগের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকরাও রয়েছেন। এই বদলির মধ্যে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, এইচআইডিসিও এবং হলদিয়া উন্নয়ন বোর্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলিতেও পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।













সংবেদনশীল জেলাগুলির উপর বিশেষ নজর
রাজ্য সরকার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, কোচবিহার, দার্জিলিং, মালদা, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং মুর্শিদাবাদের মতো সংবেদনশীল জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের বদলি করেছে। এছাড়াও, কমপক্ষে ২০টি জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসকদেরও বদলি করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, জেলা পুলিশ প্রশাসন এবং পৌর প্রশাসনেও শীঘ্রই পরিবর্তন হতে পারে।**মূল বদলি** –হিডকো-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর শশাঙ্ক শেঠি, আইএএস, কে উত্তর ২৪ পরগনার নতুন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান জেলা আইএএস শরদ দ্বিবেদীকে স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব পদে বদলি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমিত গুপ্তকে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার নিযুক্ত করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়ার জেলা শাসকদের বিভিন্ন বিভাগে বদলি করা হয়েছে। নীতিন সিংহানিয়াকে মুর্শিদাবাদের ডিএম, রাজু মিশ্রকে কোচবিহারের এবং আকাঙ্ক্ষা ভাস্করকে ঝাড়গ্রামের ডিএম নিযুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের এডিএম প্রশান্ত রাজ শুক্লাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এডিএম নিযুক্ত করা হয়েছে।
**নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ নাকি নিয়মিত বদলি?**
এই বদলি নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে এই বদলি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন এবং অন্যান্য প্রস্তুতির অংশ। অন্যরা বলছেন যে এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া, যেখানে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে একই বিভাগে কর্মরত আধিকারিকদের নিয়মমাফিক বদলি করা হয়েছে।
*নবান্ন বিজ্ঞপ্তি
নবান্ন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বদলির মধ্যে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং বিভাগীয় প্রশাসকদের পাশাপাশি হিডকো এবং হলদিয়া উন্নয়ন বোর্ডের মতো সংস্থার আধিকারিকরাও রয়েছেন। রাজ্য প্রশাসনকে সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে এই রদবদলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে, প্রশাসনিক স্তরে এই ধরনের পরিবর্তনগুলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এই বদলিগুলি প্রশাসনিক কাজকে ত্বরান্বিত করবে এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করবে।





