আসানসোলে বিএলএদের প্রশিক্ষণ, ভোটারদের আশ্বস্ত ও ফর্ম দিতে বিএলওদের সাহায্য করার পরামর্শ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ” স্যার ( এসআইআর) বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন” ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে গোটা বাং জুড়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।তার আগে শনিবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে জেলা প্রশাসনের তরফে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে বিএলএ বা বুথ লেভেল এজেন্টদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসআইআরে বিএলএদের ভূমিকা ও কাজ কি হবে, তা নিয়ে অবহিত করেন আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য ও নির্বাচনী আধিকারিক অনুজ চক্রবর্তী।













পরে এই প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক (সদর) বলেন, এদিন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো বুথ লেভেল এজেন্টদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে কমিশন স্বীকৃত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে এসআইআরের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের কাছে গিয়ে ইনুমেরেশন ফর্ম বা ইএফ কিভাবে পূরণ করতে হয় সে সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ায় বুথ লেভেল এজেন্ট এবং বুথ লেভেল অফিসার একে অপরের পরিপূরক।সকলকে একজোট হয়ে এই প্রক্রিয়াটি সফল করতে হবে। প্রশিক্ষণের সময় উপস্থিত প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা তাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর প্রশাসনের আধিকারিকদের জানতে চান।
পরে বিজেপির প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, এদিন আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিএলএ বা বুথ লেভেল এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন এই শিবিরে যোগ দেওয়ার পরে, এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে নির্বাচন কমিশন খুব সহজ পদ্ধতিতে বাংলায় এসআইআর বাস্তবায়ন করছে। তার দাবি, কিন্তু মিডিয়ার একটি অংশ এবং কিছু রাজনৈতিক দল জনসাধারণকে এই সম্পর্কে বিভ্রান্ত করছে। এটি একটি খুব সহজ প্রক্রিয়া এবং তিনি আশা করেন যে এসআইআর সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। কংগ্রেস নেতা শাহ আলম এই প্রসঙ্গে একটি প্রশ্ন তুলে বলেন, এমন অনেক মানুষ আছেন যারা কয়েক মাস আগে তাদের বসবাসের জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছেন৷ কিন্তু তাদের ঠিকানা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবর্তন করা হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে বিএলও সেই ব্যক্তির পুরানো ঠিকানায় যাবেন। যদি এমন হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির পক্ষে তার পুরানো ঠিকানায় বিএলওর সাথে দেখা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। বুথ লেভেল অফিসার তার বাড়িতে তিনবার এলেও, সেই ব্যক্তি জানতে পারবেন না যে তিনি কখন আসবেন। এমন পরিস্থিতিতে, তার পক্ষে নতুন জায়গায় তার কাজ এবং পরিবার ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকা বা পুরানো ঠিকানায় যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
আমি এই বিষয়ে মহকুমাশাসককে জিজ্ঞাসাও করেছিলাম, কিন্তু কোনও সন্তোষজনক উত্তর পাননি।অন্যদিকে, সিপিএমের প্রতিনিধি তনুশ্রী রায় বলেন, আমি যে ওয়ার্ডে কাজ করি (আসানসোল পুরনিগমের ৩১ নং) সেখানে রেল কোয়ার্টার আছে। সেখানে অনেকে এখন থাকেন না। কিন্তু তাদের নাম ভোটার তালিকায় আছে। তাদের নাম কাটানোর জন্য এর আগে বহুবার বলা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এখন কি হবে। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও, অনেক প্রশ্নের উত্তর আমরা পাইনি।

