দূর্ব্যবহার ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে, ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী সহ অন্ডাল বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার আসানসোলের ব্যবসায়ী
বেঙ্গল মিরর, অন্ডাল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার সময় পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে হেনস্তার শিকার হলেন আসানসোলের বাসিন্দা ব্যবসায়ী বিমান যাত্রী মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তাকে বিমানবন্দরের ভেতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সাজ্জারুল হক নামে রাজ্য পুলিশের এক ইন্সপেক্টর শারীরিক ভাবে নিগৃহীত করেন। তাতে তিনি শারীরিক ভাবে জখমও হন। তাকে ঐ অফিসার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি তাকে বাইরে বসিয়ে রাখা হয়েদীর্ঘক্ষন । শেষ পর্যন্ত তাকে জোর করে একটা কাগজে সই করিয়ে, তারপর দিল্লির বিমানে চাপতে দেওয়া হয়।













আসানসোলের এসবি গড়াই রোডের শ্রীপল্লীর বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি আমার ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে এদিন অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে বিকেল ৪.৪৫ মিনিটের ফ্লাইটে দিল্লী যাচ্ছিলাম। কিন্তু বিমানবন্দরের ভেতরে লাইনে ঢোকার সময় আমাকে দুবার পিছনে যেতে বলা হয়। পরে আবার আসতে বলে। কিন্তু আবার আমার পিছনে লোককে ডেকে নেওয়া হয়। তখন আমি বলি এটা কি করছেন? এই ধরনের কাজের প্রতিবাদ করি। তখন সেখানে থাকা রাজ্য পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ( ওয়ান স্টার থাকা) অফিসার সাজ্জারুল হক আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও গায়ে হাত দেন। আমাকে ধাক্কাও মারা হয়। তাতে আমার হাত কেটে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমাকে বলা হয় দিল্লি যেতে পারবেন না। শুধু স্ত্রী যাবে। দীর্ঘক্ষণ আমাদেরকে বসিয়ে রাখা হয় বাইরে। শেষ পর্যন্ত আমি খারাপ ব্যবহার করেছি, এই কথা লেখা একটা কাগজে জোর করে সই করিয়ে বিমানে চাপতে দেওয়া হয়।
সন্ধ্যায় দিল্লিতে নেমে তিনি বলেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে কি করা যায়, তা নিয়ে আমি আইনজীবীর কাছ থেকে পরামর্শ নেবো। এদিকে, এই অভিযোগ নিয়ে বিমানবন্দর কতৃপক্ষ ও পুলিশের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।

