ASANSOL

শিক্ষক নিয়োগে দূর্নীতির অভিযোগ, বিজেপির বিক্ষোভ, স্মারক লিপি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : বাংলায় এসএসসি ও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আর তা নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে বিচারকের সুপারিশ মতো মন্ত্রী সভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পরেশ অধিকারীকে সরানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার আসানসোলের এসবি গরাই রোডের সুকান্ত ময়দান লাগোয়া জেলা স্কুল পরিদর্শক বা ডিআই অফিসে জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই বিক্ষোভ শেষ একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয় ডিআই সুনীতি সানফুইকে। এই কর্মসূচিতে ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় , অভিজিৎ রায়, ভৃগু ঠাকুর সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী ও সমর্থক ও নেতারা।


রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আক্রমণ করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, কান টানলেই মাথা আসে। আর আমরা সেই মাথা কে, তা আমরা সবাই জানি। যিনি নবান্নের ১৪ তলায় বসে আছেন৷ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বারবার সিবিআইের তরফ থেকে ডাকা হচ্ছে, যা প্রমাণ করে যে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। নিয়োগে ব্যাপক কেলেঙ্কারি হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলাকালীন রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করে বিধায়ক বলেন, এই সরকার গঠনের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা শিক্ষা সহ সব ক্ষেত্রেই নিয়োগে দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছেন। প্যানেলে নাম থাকা সত্বেও অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। যারা যোগ্য তারা চাকরি না পেয়ে রোদে জলে রাস্তায় বসে আছেন। আর অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছে। এটা লজ্জাজনক ব্যাপার।

তাই বিজেপির এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে চোর ধরো জেল ভরো। অগ্নিমিত্রা পাল তার বক্তৃতায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি আসানসোলের দীর্ঘদিন ধরে ডিআই হিসাবে থাকা এক আধিকারিককে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। অগ্নিমিত্র পাল বলেন, একটি স্মারকলিপি বর্তমান ডিআইয়ের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। যাতে আসানসোলের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছি ও তদন্তের দাবি জানিয়েছি। যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে আগামী দিনে বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা আসানসোল বন্ধ করে দেওয়া হবে। অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আদালতের সুপারিশ মতো অভিযুক্ত মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করার কথা বলা হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় তারা রয়েছেন । এতেই প্রমাণিত হয় এই পুরো দুর্নীতির শিকড় কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।

Leave a Reply