বার্নপুরে ইস্কো কারখানার গেটে “তোলাবাজি” র অভিযোগ, পেছনে রাজনৈতিক মদত, নিশ্চুপ পুলিশ, গাড়ি থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় সিন্ডিকেটের
বেঙ্গল মিরর, বার্নপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড বা সেলের বার্নপুর ইস্কো কারখানা বা ইস্কো স্টিল প্ল্যান্টের (আইএসপি) নিউ সারামারা গেটে তোলাবাজির অভিযোগ উঠছে। সূত্র মারফত জানা গেছে , ঐ গেট থেকে বেরিয়ে আসা গাড়ি থেকে তোলাবাজি করা হচ্ছে। এই তোলাবাজি থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার থাকা একটি সংগঠিত সিন্ডিকেট এই তোলাবাজি করে টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার বাসিন্দা ও গাড়ি চালকরা জানিয়েছেন, এই তোলাবাজির ঘটনা বহু বছর আগে থেকে হয়ে আসছে। প্রথমে এই তোলাবাজি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নেতৃত্বে ছিলো। কিন্তু এখন এটি আরো সংগঠিত হয়ে উঠেছে। তৈরি হয়েছে একটা সিন্ডিকেট।













বর্তমানে, কিছু ছোট স্থানীয় নেতা এবং দুষ্কৃতিরা এই সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে। এদের মদত দিচ্ছেন এক প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বলে অভিযোগ। যারা প্রতিদিন গাড়িতে গাড়িতে চাঁদাবাজি করে। এখানে কোন মেশিন কোন কাঁচামাল নিয়ে গেলে দিতে হয় তোলা। কৌশিক, মিন্টু এদের নেতৃত্বেই চলছে এই তোলাবাজি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাড়ি চালক বলেন, “প্রতিটি যানবাহন থেকে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা করে ইচ্ছামতো তোলাবাজি করা হচ্ছে। রাতে তোলাবাজির হার আরও বেড়ে যায়। আমরা নিদিষ্ট জায়গায় অভিযোগ করেছি।কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
সূত্রের মতে , এই অবৈধ ব্যবসা বা তোলাবাজি থেকে আয় হওয়া প্রতি মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে ” ভাগাভাগি” পদ্ধতিতে বিতরণ করা হয়। অভিযোগের পরে বেশ কয়েকবার এই তোলাবাজি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দু/তিন বছর আগে, স্থানীয় প্রশাসনের তদন্তের পরে তোলাবার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এখন এই তোলাবাজি আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে। আরো অভিযোগ করা হচ্ছে যে, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও মদত থাকার কারণে পুলিশ ও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে গোটা বিষয়টি আইএসপি বা ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। তবে সেল আইএসপির এক আধিকারিক বলেন , আমরা এমন কোনও অভিযোগ পাইনি। যদি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় পুলিশের তরফেও বলা হয়েছে, এই তোলাবাজি নিয়ে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। যদি অভিযোগ দায়ের করা হয়, তবে তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই তোলাবাজির অভিযোগ শুধুমাত্র গাড়ি চালকদের অসুবিধার কারণই নয়, শিল্প ক্ষেত্রের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, এই ধরনের অবৈধ তোলাবাজি আটকাতে কঠোর নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ভি. শিবদাসন ওরফে দাসু বলেন, আমার এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। যদি এই তোলাবাজি ঘটছে তবে, পুলিশ প্রশাসনের এর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

