আসানসোল রবীন্দ্রভবনে ইনুমেরেশন ফর্ম নিচ্ছেন বিএলও,বাড়ি – বাড়ি না যাওয়ার অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন চালু হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও এই প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যেই, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রায় ১০০ শতাংশ ইনুমেরেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছে। সেই ফর্ম পূরণ হওয়ার পরে তা কালেকশন বা সংগ্রহ করার কাজ করছেন বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসাররা। পরে সেই ফর্ম ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে।এই বিষয়ে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে যে বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে গণনার ফর্ম পৌঁছে দেবেন এবং ফর্ম পূরণের পর তারাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা সংগ্রহ করবেন। তবে দেখা যাচ্ছে বা অভিযোগ যে আসানসোলের কিছু বিএলও তা করছেন না।













শনিবার সকালে, আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে এমন কিছু ছবি দেখতে পাওয়া গেলো। এদিন আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের চত্বরে কিছু মহিলা ও পুরুষকে দেখা গেলো লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন আপকার গার্ডেনের বাসিন্দা। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেলো, তারা ইনুমেরেশন ফর্ম পূরণ করার পরে এখানে বিএলওর কাছে জমা দিতে এসেছেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে পূরণ করার পরে ইনুমেরেশন ফর্ম সংগ্রহ করা বিএলওর দায়িত্ব। পূরণ করা ফর্ম সংগ্রহ করার জন্য তাদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। তাহলে কেন তাদেরকে বাড়ি থেকে রবীন্দ্র ভবনে আসতে হলো ? এ ব্যাপারে তারা বলেন যে, বিএলওরা তাদের বাড়িতে ফর্ম বিতরণ করেছেন। কিন্তু বিএলওরা পূরণ করা ফর্ম সংগ্রহ করতে তাদের বাড়িতে আসছেন না।
তারা যখন তাদের বুথের বিএলওকে ফোন করলেন, তখন তিনি বললেন যে তারা রবীন্দ্র ভবনে ফর্ম সংগ্রহ করছেন। এখানে এসে জমা দিন। এরজন্যই আমরা ফর্ম জমা দিতে এসেছি। এই প্রসঙ্গে এক মহিলা বলেন, আমার দুপায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবুও আমাকে আপকার গার্ডেন থেকে রবীন্দ্র ভবনে ফর্ম জমা দিতে আসতে হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আসানসোলের এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন, নির্বাচন কমিশনই নির্দেশ দিয়ে বলেছে, কোন বিএলও বাড়ি বাড়ি যেতে সমস্যা হলে, তিনি তার বুথে বসে ফর্ম জমা নিতে পারেন। তাতে কোন অসুবিধা নেই।

