ASANSOL

জমি নিয়েও অন্ডাল বিমাননগরীতে কারখানা গড়তে পারছেন না আসানসোলের ব্যবসায়ী, টাকা নিয়েও কাজ না করার অভিযোগ আর্কিটেক্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* চুক্তি মতো টাকা নেওয়ার পরেও কাজ না করার অভিযোগ উঠলো একটি বেসরকারি আর্কিটেকচার কোম্পানির বিরুদ্ধে। এরফলে দু’বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডালে কাজি নজরুল ইসলাম বিমানগরীতে বেঙ্গল অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্ট লিমিটেডের ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন কারখানা তৈরী করতে পারছেন না আসানসোলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টি তিনি রাজ্য সরকারকে জানিয়েছেন। গোটা বিষয় নিয়ে সোমবার দুপুরের আসানসোলের এসবি গড়াই রোডের শ্রীপল্লীতে নিজের বাসভবনে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, অন্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দর এলাকায় বেঙ্গল অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্ট লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে একটি বহুজাতিক কোম্পানি একটি শিল্প নগরী বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন নির্মাণ করছে। সেখানে আমি দুবছর আগে ৫৮.৭৪ কাটা জমি কিনেছিলাম। মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, আমি সেখানে একটি ফ্লাই অ্যাশ ইট কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু সেখানে সেই কারখানা করতে বাধা দেওয়া হয়। বলা হয়েছিলো দূষণ হবে। পরে রাজ্য সরকারকে গোটা বিষয়টি জানাই। রাজ্য সরকার তার অনুমতি দেয়। কিন্তু তারপরেও তা আমি করতে পারিনি। পরবর্তী কালে আমি সেখানে লজিস্টিক হাব করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। তারজন্য আমি দুর্গাপুরের ” পজিটিভ স্পেস ডিজাইন স্টুডিও, মাস্টার অফ আর্কিটেকচার ( আরবান রিজেনারেশন) ফেকালটি অফ আর্কিটেকচার এ্যান্ড আকিস্টিক ” নামে একটা বেসরকারি কোম্পানিকে কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তারজন্য ঐ কোম্পানির কর্ণধার সামিউল্লাহ চাঁদকে তিনটি কিস্তিতে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমি তাকে টাকা দেওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও কোম্পানি চুক্তি মতো কাজ শেষ করেনি। যখনই আমি সামিউল্লাহ চাঁদের সাথে যোগাযোগ করি, তখন সে উত্তর দিতে অস্বীকার করেন। যে নকশা দেওয়া হয়েছিলো তাতে কোন সই ছিলোনা। টাকা ফেরত দিতেও তিনি অস্বীকার করেন। এর ফলে আমার কোম্পানি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেখানে কাজ বন্ধ রয়েছে। আমার টাকাও আটকে রয়েছে। এরপরে আমি বেঙ্গল অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্ট লিমিটেডের সাথে যোগাযোগ করে গোটা বিষয়টি অবহিত করি। তখন অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্ট লিমিটেডের আধিকারিকরা স্পষ্টতই বিষয়টি থেকে নিজেদের মুখ ফিরিয়ে নেন। তারা বলেন, কোম্পানি জমি আমার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এখন আর বেঙ্গল অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্ট লিমিটেডের সাথে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।

মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন , যদি এখানকার বিনিয়োগকারীদের সাথে এই ধরণের আচরণ করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কোনও বিনিয়োগকারী এখানে আসতে চাইবেন না। তাই, আমি সাংবাদিক সম্মেলনে করে সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি। তিনি এও বলেন, আমি রাজ্যের মুখ্য সচিব সহ প্রশাসনের সকল দপ্তরে এই বিষয়ে অভিযোগ করছি।জানা গেছে, দুর্গাপুরের এই আর্কিটেকচার কোম্পানি আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ আড্ডা, আসানসোল পুরনিগম, দুর্গাপুর নগর নিগম সহ একাধিক সরকারি দপ্তরে তালিকাভুক্ত রয়েছে। মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে ঐ কোম্পানির কর্ণধারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *