ASANSOL-BURNPUR

আসানসোলের আশ্রম মোড়ে বুধবার হয়ে গেলো দুঃসাহসিক ডাকাতি; আনুমানিক ৫ কিলো সোনা লুঠ; পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, ২১ শে ফেব্রুয়ারি,২০২০, সৌরদীপ্ত  সেনগুপ্ত:
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে জি টি রোডের দক্ষিণ থানার অন্তর্গত আশ্রম মোড়ে হোটেল এক্সেলেন্সির নিচে গণপতি জুয়েলার্সে গত কাল সন্ধ্যে প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ ৫ জনের একটি দুষ্কৃতী দল এক দুঃসাহসিক ডাকাতি করে। রীতিমতো অস্ত্র নিয়ে তারা দোকানে ঢোকে।

 তদন্তকারীদের তরফ থেকে মনে করা হচ্ছে অনেক দিন ধরেই তারা এই দোকানে ডাকাতির সুযোগের সন্ধানে ছিল এবং সূত্র অনুযায়ী তাদের কে গত দুই দিন ধরে দোকানের আশেপাশে ঘুরতেও দেখা গেছে।
  আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জোর কদমে তদন্ত শুরু করেছে এই বিষয়ে।

   ঘটনা ঘটার পর আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন এ ডি সি পি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস, আই পি এস , এ সি পি (সেন্ট্রাল) সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য্য, আই.পি.এস, ও সি (সাউথ ) অনিন্দ্য দে এবং আরো অনেক উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। 
এ বিষয়ে এ ডি সি পি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস বলেন,
“প্রথমে দুজন দুষ্কৃতী হেলমেট পরে ঢোকে এবং তার পিছনে আরো তিনজন আসে ; অস্ত্র দেখিয়ে প্রায় আনুমানিক ৫ কিলো সোনা এবং অন্যান্য কোটি টাকার গহনা সামগ্রী তারা অস্ত্র দেখিয়ে লুঠ করে আর লুঠ করে যাবার সময় সিসি টিভি ক্যামেরাটি এবং ডি.ভি.আর সঙ্গে করে নিয়ে যায়। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে এই ডাকাতি সংগঠিত করে এই ডাকাতদল।

  রাস্তার আশপাশের সি সি টিভি ফুটেজের ওপর ভরসা করেই তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে।” 

এরই মধ্যে সোনার দোকান যে হোটেলের নিচে অবস্থিত সেই হোটেলের রেজিস্টার দেখেও বেশ তদন্ত করে পুলিশ এবং দোকানে কর্মরত কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিছুক্ষনের জন্যে দোকানের একজন মহিলা কর্মচারী ভীষণ ভয় এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং পরে তাকে সুস্থ করা হয়।

এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন দোকানের মালিক মুরারীলাল আগারওয়াল এবং তিনিই প্রথম পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যবসায়ী নরেশ আগরওয়াল এবং এলাকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।   জিটি রোডের শহরের প্রাণকেন্দ্রে এরকম একটি দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় ব্যবসায়ী মহল আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাদের নিরাপত্তার ও সুরক্ষার বিষয়টির কথা ভেবে। ঘটনা ঘটার পর রাতভর নাকা চেকিং এবং তল্লাশি চলে রাস্তার এবং বিভিন্ন জায়গায়।

পুলিশের এই ডাকাতির ঘটনার দ্রুত কিনারা করার আশ্বাস এলাকার ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক কতটা কাটাবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *