বেঙ্গল মিরর, .রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৫ মার্চঃ লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। বুধবারের আসানসোল শিল্পাঞ্চলের চেহারাটা প্রথম দিনের তুলনায় আরো কিছুটা অন্যরকম বলা যায়। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ জুড়ে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২১ দিন করার কথা জানাতেই আতঙ্ক বেড়েছে।
এদিন শিল্পাঞ্চলের সব জায়গায় সকাল থেকেই দেখা গেল মুদির দোকানের সামনে ভিড়। বাজারেও ছিলো ভিড়। সেই ভিড় সামাল দিতে কোথাও কোথাও পুলিশকে মাইক হাতে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে, সবাইকে সচেতন করতে। পুলিসকে বলতে হচ্ছে কেউ জিনিস মজু করবেন না, দাম বাড়াবেন না ও ভিড় করবেন না। আবার কোথাও কোথাও দেখা
গেলো দোকানদার নিজেই সচেতন হয়েছেন। কিভাবে দাঁড়িয়ে জিনিস দোকান থেকে নিতে হবে, তা ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। কোন দোকানি আবার এক বা দুজন করে দোকানে লোক ঢোকাচ্ছেন। তাদের জিনিস দিয়ে বাইরে বের করে আবার নতুন করে লোক ঢোকাচ্ছেন। এদিন দেখা গেল আসানসোল ও তার আশপাশের শহরগুলির দোকান সামনে থেকে বন্ধ আছে। দোকানের পেছন থেকে কেউ কেউ জিনিস নিয়ে বেরোচ্ছেন।
জিনিসের দাম যথেষ্ট বেড়েছে। আসানসোলে ব্লক ভিত্তিক জেলা প্রশাসনের কোনও টাস্কফোর্স নেই। এইসব কালোবাজারি সামলাতে যে শুধু পুলিশই ভরসা এদিন তা বোঝা গেল। এখনই যদি এই অবস্থার পরিবর্তন না ঘটানো যায় তাহলে তা কিন্তু আরও ভয়ংকর হবে। এদিন পুলিশ যথেষ্ট তৎপরতা ছিল গোটা মহকুমা জুড়েই। কোন কাজ নেই, অথচ লক ডাউনের পরোয়া না সকাল থেকে অনেক যুবককে বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেলো একাধিক জায়গায়। পুলিশকে মঙ্গলবারের মতোই এদিন লাঠি উঁচিয়ে চিৎকার করে তাদের তাড়াতে হয়েছে।
এদিনও দেখা গেল একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় পুলিশ ও পঞ্চায়েতের উদ্যোগে মাইকে ঘোষণা করে বলা হচ্ছে, সবাই বাড়িতে থাকুন। অযথা কেউ বেরোবেন না। জরুরী প্রয়োজনে বেরোন । দোকান ও বাজার সব খোলা থাকবে।
এদিন শিল্পাঞ্চলের মধ্যে রেল শহর চিত্তরঞ্জনের ১ ও ৩ নং গেট বাদ দিয়ে, অন্য যেসব গেট আছে তা এদিন সকাল থেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে ।
আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় এদিন ২৮ টাকার এক কেজি আটা ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় । একটা ডিম ৭ থেকে ৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যেকোন চালের দাম ২ টাকা কিলোতে বেড়েছে। কিছু কিছু বাজারেও আলুর এক কেজি দাম ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে, জামুড়িয়ার চিচুঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাহুকা গ্রামে ঢোকার রাস্তা বাসিন্দারা বন্ধ করে দিয়েছেন। হাতে লিখে একটি নোটিশ দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে, বহিরাগতরা কেউ গ্রামে ঢুকবেন না। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রচুর মানুষ বাইরে থেকে যাতায়াত করেন। তাই গ্রামকে বাঁচাতেই এই ব্যবস্থা নিয়েছি।
Mr. Chandan | Senior News Editor Profile
Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.