করোনা পরিস্থিতিতে আসানসোলে রক্তসঙ্কটে এবার রক্তের যোগানে এগিয়ে এলেন ই এস আই হাসপাতালের কর্মীবৃন্দ ; উঠলো পৃথক ব্লাড ব্যাংক গড়ে তোলার অনুরোধ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, ১ লা এপ্রিল ২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : বর্তমানে সারা দেশজুড়ে জারি রয়েছে ২১ দিনের লকডাউন । লকডাউন ঘোষণার আগে থেকেই করোনা আতঙ্কে রক্তদান শিবির প্রায় বন্ধ রয়েছে ৷ ফলস্বরূপ চরম রক্তসংকটে ভুগছে রাজ্যের হাসপাতালগুলো। ব্লাডব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের যোগান প্রায় শূন্য।
রক্তের এই নজিরবিহীন আকাল মেটাতে এবার ন্যানো ক্যাম্পের মাধম্যে এগিয়ে এলো আসানসোল ই এস আই হাসপাতালের কর্মীরা। যদিও বছরের অন্যান্য সময়ে রক্তসঙ্কট মেটাতে বছরের অন্যান্য সময়ে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়।
করোনা পরিস্থিতে উদ্ভুত রক্ত সংকটের কথা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরে সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ আসানসোল ই এস আই হাসপাতালের নার্সিং কলেজ বিল্ডিং এর একটি ঘরে ছোট রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। দুপুর পৌনে বারোটা পর্যন্ত এই শিবির চলে। মোট ৬ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয় এই ন্যানো ব্লাড ক্যাম্পের মাধ্যমে।
এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল ই এস আই হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ড: অতনু ভদ্র , ই এস আই হাসপাতালের ড: সুব্রত ঘোষাল, ই এস আই হাসপাতালের মেডিক্যাল স্টোর ইনচার্জ উৎপল পান্ডা এবং কুণাল চ্যাটার্জী, আসানসোল ব্লাড ব্যাংকের মেডিক্যাল অফিসার ড: সঞ্জিত চ্যাটার্জী এবং ভলান্টারি ব্লাল্ড ডোনার্স অর্গানাইজেশন সমন্বয় কমিটি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের তরফ থেকে অসীম সরকার , এছাড়া অসীম মাজি প্রমুখ।
আসানসোল হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের প্রচুর রোগী এবং এর মধ্যে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যাও অনেক । দুর্ঘটনা আর অস্ত্রোপচারজনিত কারণে রক্ত যোগান দরকার। আর তার ওপর বর্তমানে করোনা আতঙ্কের কারণে রক্তের যোগান তলানিতে এসে ঠেকছে। আর ঠিক এই কারণবশত: ব্লাডক্যাম্পের ভাবনা।
আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কের মেডিকেল অফিসার সঞ্জিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” করোনা পরিস্থিতে ই এস আই হাসপাতালের এই উদ্যোগ এই সংকটের সময় প্রশংসনীয়।”
ই এস আই হাসপাতালের সুপার ড: অতনু ভদ্র এই সংকটের সময় রক্তদাতাদের রক্তদানের মত মহৎ কাজ করার জন্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এদিকে ই এস আই হাসপাতালের তরফ থেকে হাসপাতালে অনেকেই একটি পৃথক ব্লাড ব্যাংক তৈরির দাবি তোলেন। কারণ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকে রক্তের চাহিদার কারণে ভীষণ চাপ রয়েছে। ফলে পৃথকভাবে কোনোভাবে যদি ই এস আই হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক তৈরী করা হয় তাহলে জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের ওপর চাপ অনেকাংশেই কমবে এবং শিল্পাঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবেন।