সমস্যার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে ফোন / এক ঘন্টার মধ্যেই জামুড়িয়ার পরিবারের হাতে পৌঁছে গেলো খাদ্য সামগ্রী
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৭ এপ্রিলঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের দপ্তরে ফোন আসে । আর সেই ফোন আসার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে গেল জামুড়িয়ায় প্রায় অর্ধাহারে থাকা এক পরিবারের কাছে। পুর প্রশাসনের সাহায্য পেয়ে ঐ পরিবারও খুশি ।
জানা গেছে, জামুরিয়ার নিংঘার আজাদ নগরের বাসিন্দা রেনু দেবী সিং সোমবার সকালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে ফোন করে জানিয়ে ছিলেন যে তার স্বামী মুম্বাইয়ে কাজ করেন। লক ডাউনের কারণে সে এখন সেখানেই আটকে পড়েছেন। বাড়ি ফিরতে পারেননি। এই মুহূর্তে তার হাতে কোন কাজও নেই। আমি বর্তমানে তিন সন্তান নিয়ে ঘরে আছি। কিন্তু সবার পেট ভরানোর জন্য যতটা খাবার দরকার তা পাচ্ছি না। এই ফোন পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়। সেখান থেকে সটান ফোন আসে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে। বলা হয় ঐ পরিবারের কাছে দ্রুত খাদ্য সামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজির ফোন আসে পুরনিগমে। মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি তা শুনে সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের কাছে যেতে বলেন জামুড়িয়ার বাসিন্দা পুরনিগমের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায়কে।
ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পূর্ণশশী রায় পুরনিগমের ১২ নং ওয়ার্ডের নিংঘার আজাদ নগরের বাসিন্দা রেনুদেবীর বাড়িতে পৌঁছে যান । তিনি রেনু দেবীর হাতে ৫ কিলো চাল , ৫ কিলো আটা ২ কিলো আলু তুলে দেন। তিনি রেনুদেবীকে বলে আসেন, কোনো রকম অসুবিধা হলে সরাসরি তাদের জানাতে। তারা সব সাহায্য করবেন।
পরে পূর্ণশশীবাবু বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সকলের পরিবারের অভিভাবক। তিনি এই রাজ্যে কোন মানুষকে কোনভাবেই না খেতে পেয়ে মরতে দেবেন না। যেভাবেই হোক আমরা তাদের সাহায্য করবো ও পাশে থাকবো। এই কথা ঐ পরিবারকে বলেও এসেছি।
রেনু দেবী বলেন, ভাবতেই পারছি না। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে একবার ফোন করার এত কম সময়ের মধ্যে এইভাবে খাবার পেয়ে যাবো । মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ।