ASANSOL-BURNPUR

আসানসোলের সাংসদ ও বিজেপির সমালোচনা / করোনা সংকটে রাজ্য সরকার ও দলের কাজের কথা তুলে ধরলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি

বেঙ্গল মিরর,  রাজা বন্দোপাধ্যায়, দূর্গাপুর, ৮ জুনঃ করোনা সংকটকালে রাজ্য সরকার ও দলের তরফে কি কাজ করা হয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে সাংবাদিকদের সামনে তথ্য সহ তুলে ধরলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। সোমবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পান্ডবেশ্বরের হরিপুরে বিধায়ক কার্যালয়ে হওয়া সেই সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় একজন মায়ের মতো হৃদয় নিয়ে নিজের আঁচল দিয়ে বাংলার মানুষকে বাঁচানোর জন্য রাস্তায় নেমে কাজ করছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় একবারে প্রথম থেকেই বিপরীত পরিস্থিতিতেও বাংলার মানুষকে সাহায্য করার জন্য লাগাতার চেষ্টা করছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় নিয়ে আসার জন্য তিনি অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু সংকটের সময় বিজেপি বাংলাকে অপমানিত করার জন্য লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লক ডাউনে সমস্যায় পড়া মানুষদের সাহায্য করার জন্য বিজেপির নেতা ও কর্মীরা এগিয়ে আসেন নি। কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাধারণ মানুষ দের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তথ্য যদি দেখা হয়, তাহলে দেখা যাবে অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় করোনা আক্রান্তর সংস্থা অনেক কম। পরীক্ষা করার ক্ষেত্রেও বাংলা অন্য রাজ্যের থেকে অনেক এগিয়ে। কারোর মৃত্যু হওয়া অবশ্যই দূর্ভাগ্যজনক। কিন্তু তারজন্য দায়ী কে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও আমরা সবাই মিলে বাংলার মানুষদের বাঁচানোর চেষ্টা করছি৷ কিন্তু কেন্দ্র সরকার বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিজেপি বাংলার মানুষদের অপমানিত করার কাজ করছে। বাংলার বদনাম করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাকে বদনাম বিজেপির নেতা ও কর্মীরা খুব খুশি হন। মমতা বন্দোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় করোনা হাসপাতাল তৈরী করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করছেন৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। গরীব মানুষদের রেশন ও খাবার দেওয়া হচ্ছে। এদিন বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি আরো বলেন, এই পান্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকাতেই প্রায় ৪০ হাজার পরিবারকে তিনবার চালু , আলু, আটা সহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আরএমপি চিকিৎসক, গৃহশিক্ষক ও শ্রমিকদের সবরকম ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়েছে। গোয়ালাদের খড় বা বিচালি সহ অন্যান্য জিনিস দেওয়া হয়েছে। ১২৫০০ জন বিধবা মহিলাকে আটা ও কাপড় দেওয়া হয়েছে। ঈদের সময় ১২/১৩ হাজার মানুষকে রমজান কিট দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী এলাকায় কমিউনিটি কিচেনের সাহায্যে খাবার দেওয়া হচ্ছে। ৪৫ হাজার মাস্ক সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষেরা একজোট হয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন৷ সেখানে বিজেপির কিছু নেতা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে রয়েছেন। তারা সাধারণ মানুষের নজর অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এই সংকটের সময় আসানসোলের মানুষদের পাশে না থেকে,, শুধু মাত্র সোশাল মিডিয়ায় কখন নিজের চুল কাটা, কখনো নিজের গান গাওয়ার ভিডিও পোস্ট করছেন৷ পান্ডবেশ্বরে গরীব মানুষদের সাহায্য করার পরিবর্তে কিছু ভুল তথ্য নিয়ে, তার মাধ্যমে বিজেপি সংগঠন তৈরী করার চেষ্টা করছে। পান্ডবেশ্বর ও বাংলায় এমন সংস্কৃতি কোনদিন ছিলোনা। বিজেপির যড়যন্ত্র আমরা বিফল করে দেবো৷ লক ডাউনে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সংকটের সময় বাংলার মানুষের সঙ্গে দাঁড়িয়েছেন, তাতে আগামী দিনে বাংলার মানুষেরা তার সঙ্গে থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *