ASANSOL-BURNPUR

স্টেন ট্রাক উদ্যোগ কারখানায় শ্রমিকের সন্দেহজনক মৃত্যু,প্রশ্ন চিহ্নে কারখানা কর্তৃপক্ষ

বেঙ্গল মিরর, রিক্কী বাল্মীকি, সালানপুর* :-
সালানপুর থানা অন্তর্গত 
ন্যাকড়াজড়িয়ে অবস্থিত
স্টেন ট্রাক উদ্যোগ কারখানায়
কর্মরত শ্রমিক নবকুমার মাজির(২০) শুক্রবার প্রায় দুপুর ২টায় সন্দেহজনক মৃত্যু হয়।
যাহোক এই মৃত্যুর খবর পুলিশ পায় বিকেল ৪টায়,কিন্তু পুলিশকে খবর দেওয়ার আগে মৃত নবকুমার মাজিকে পিঠাকেয়ারী স্বাস্থ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়।

তাড়াতাড়ি মধ্যে পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ দ্বারা মৃত্যুদেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় তারপর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়।
পুলিশসূত্রে জানা যায় কারখানার ভিতরে শ্রমিক আবাসে মধ্যে ফ্যানের মধ্যে গামছা লাগিয়ে আত্মহত্যা কারণ বলা হচ্ছে, কিন্তু শ্রমিক আবাসের মধ্যে কোনো দরজা জানালা না থাকার কথা উঠে আসছে।
শতাধিক শ্রমিকের মধ্যে দিন দুপুরে কী ভাবে নবকুমার মাজি আত্মহত্যা করলো এটা আশ্চর্যের ব্যাপার।
যদি নবকুমারের মৃত্যু কারখানার আবাসনের মধ্যে হয়েছিলো তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ তৎকালীন কেনো প্রশাসনকে সূচনা দেওয়া হলো না,এমনি অনেক রহস্য নবকুমার মাজির মৃত্যুকে আরো বেশি সন্দেহজনক বানিয়ে দিচ্ছে।
শনিবার কাল্লা থেকে আসানসোল মুর্দা ঘর পৌঁছান নুবকুমার মাজির পরিবার।কাল্লা থেকে আসানসোল মুর্দাঘর আসা পরিবারের সদস্যদের কল্যানেশ্বরী(সালানপুর)না আসতে দেওয়ার কথা উঠে আসছে।
এই ঘটনার তদন্ত অফিসার কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির এ.এস.আই সৌমেন্দ্র নাথ দে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের হাতে নবকুমার মাজির মৃতদেহটি তুলেদেন।
শোনা যাচ্ছে কি কারখানা কর্তৃপক্ষের কিছু লোক আসানসোল পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এই মামলার রফাদফা করে দেন।
কিন্তু পুরো ঘটনাটিতে আশ্চর্যজনক ব্যাপারে হলো যে মৃত্যু নবকুমার মাজির পরিবারের সদস্যদের ফোন নম্বর না পুলিশের কাছে রয়েছে না কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে।
ঘটনা তদন্ত আধিকারিকের অনুসারে ইউ.ডি কেসে পরিবারের সদস্যদের ফোন নম্বর দরকার পড়েনি।
পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও মৃত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করা হয়,কিন্তু এলাকার সাংবাদিক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি বিফল হয়।
পুলিশের অনুসারে এই ঘটনা আত্মহত্যার আসে,
কিন্তু কারখানার বন্ধ ও চার দেওয়ালের ভিতরে নবকুমারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অনেক প্রশ্নকে জন্ম দিয়েছে।
কি…?আত্মহত্যা যারা করে তারা কি নিজে দোষী হয়,এই বিচারধারাটি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার মামলাটি বদলে রেখে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে তাহলে কি গরীব অসহায় শ্রমিকে বড়ো বড়ো কারখানা ভিতরে আত্মহত্যা করার জন্য বাধ্য করা হয় না এর গ্যারান্টি কে দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *