ASANSOLBengali NewsCOVID 19RANIGANJ-JAMURIA

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখনো পর্যন্ত নেই একটিও কন্টাইনমেন্ট জোন / একদিনে ১৪ আক্রান্ত মেলায় নজরে রানিগঞ্জের একটি এলাকা / করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করলেন জেলাশাসক

বেঙ্গল মিরর ,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১০ জুলাইঃ নবান্ন থেকে রাজ্য জুড়ে জেলা ভিত্তিক যে কন্টাইনমেন্ট জোনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোন নাম নেই। তবে নবান্ন থেকে জেলা প্রশাসনকে জেলার করোনা পরিস্থিতি নতুন করে পর্যালোচনা করার নির্দেশ বৃহস্পতিবারই পাঠানো হয়েছিলো। সেইমতো শুক্রবার আসানসোলে জেলাশাসকের কার্যালয়ে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজির উপস্থিতিতে প্রশাসনিক স্তরে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ দেবাশীষ হালদার সহ পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
বৈঠকের পরে আসানসোল পুরনিগমের কমিশনার তথা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, এখানো পর্যন্ত জেলার করোনা পরিস্থিতি কি তা নিয়ে এদিন সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। কতজন এখনো পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, কতজন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন, কতজন মারা গেছেন, কোন কোন এলাকায় করোনা হয়েছে, সব কিছুরই আলোচনা করা হয়েছে।

এই জেলায় এখনো পর্যন্ত কোন কন্টাইনমেন্ট জোন নেই। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইড লাইনে কন্টাইনমেন্ট জোনের জন্য যে তিনটি প্যারামিটার বলা আছে, সেগুলো এখানে নেই। তাই কন্টাইনমেন্ট জোন নেই। তবে রানিগঞ্জ শহরের কুমারবাজার এলাকা নজরদারিতে রয়েছে। সেই এলাকাটিকে কন্টাইনমেন্ট জোন করা হতে পারে। তার জন্য প্রশাসনের তরফে সমীক্ষা করা হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক আরো বলেন, শনিবার থেকে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার সহ অন্যসব আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। জেলার সবাইকে মাস্ক পড়তে বলা হচ্ছে। মানতে হবে, সোশাল ডিস্টেন্স সব স্বাস্থ্য বিধি। কেউ তা না মানলে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


অন্যদিকে এদিন বিকালে সিএমওএইচ ডাঃ দেবাশীষ হালদার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় রানিগঞ্জ এলাকায় ১৪ জন করোনা আক্রান্তর খোঁজ মিলেছে। সেই কারনে ঐ এলাকা নজরদারিতে রয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনের তরফে সমীক্ষা করা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমানে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ১৭৩ জন। এ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩৪। মারা গেছেন ৫ জন।

Leave a Reply