পশ্চিম বর্ধমান জেলা / মাথা ও বুকে গুলির চিহ্ন / রেল শহর চিত্তরঞ্জনের রাস্তা থেকে উদ্ধার কারখানার ঠিকাদারের দেহ / চাঞ্চল্য, তদন্তে পুলিশ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৭ জুলাইঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রেল শহর চিত্তরঞ্জনের রাস্তায় উদ্ধার হল গুলিবিদ্ধ এক যুবকের দেহ। শুক্রবার বিকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা রেল শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের নাম বলরাম সিং(৩৭)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বলরাম সিং নামে ঐ যুবক চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা ঠিকাদার বা কনট্রাক্টর ছিলেন। সে মুলতঃ কারখানায় নিলাম বা অকশান হওয়া জিনিস কিনতো। এদিন বিকেলে কারখানার ওয়ার্কশপ অফিস থেকে জিএম অফিস যাওয়ার রাস্তায় দেহটি উদ্ধার হয়। দেহের পাশেই পড়েছিলো হলুদ রঙের একটি স্কুটি। খবর পেয়ে আরপিএফ প্রথমে এলাকায় আসে। তারা বলরাম সিংকে চিত্তরঞ্জনের কেজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ আসে। দেহের মাথায় ও বুকে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। বলরাম সিং রেল শহরেরই বাসিন্দা ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ঐ যুবককে কেউ বা কারা গুলি করে খুন করেছে। তবে, প্রকাশ্য রাস্তায় কে বা কারা তাকে খুন করেছে, তা পুলিশ সন্ধ্যা পর্যন্ত জানতে পারেনি। খুনের কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতেই ঝাড়খণ্ডের বোকারোর চার যুবক একটি গাড়ি নিয়ে এসে রেল শহরের বাসিন্দা এক যুবতীকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার বিকালে রেল শহরের প্রকাশ্য রাস্তায় রেল ইঞ্জিন কারখানার ঠিকাদারকে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটলো। এই ঘটনার পরে স্বাভাবিকভাবেই সংরক্ষিত রেল শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । ইনটাক নেতা নেপাল চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, গোটা শহরে বাইরের সাধারণ লোকের প্রবেশ নিষেধ। আরপিএফের জওয়ানরা পাহারয় রয়েছে । দুধ ও সবজি বিক্রেতাদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তারপরেও পরপর দুদিনে সেই রেল শহরে দুটি বড় ঘটনা ঘটে গেল। শহরের নিরাপত্তা কোথায়? এইসব ঘটনায় গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আরপিএফের তরফে এই ঘটনা ও অভিযোগ নিয়ে কেউ কোন মন্তব্য করতে চাননি।