আসানসোল জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে এক প্রৌঢ়া সহ দুজনের মৃত্যু / জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী আক্রান্ত,করোনা সংক্রমণ আটকাতে মহকুমার ৬৭ টি বাজায় খোলার সময়ে নিয়ন্ত্রণ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২২ জুলাইঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা।গত ২৪ ঘন্টায় ( সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত) পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা এযাবৎ জেলায় রেকর্ড সংক্রমণ বলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে৷ জেলায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত আক্রান্তর সংখ্যা ৪৫০ পার হয়ে গেছে।
এদিকে, বুধবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা এক প্রৌঢ়া সহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানায়, মৃত দুজনেই করোনা আক্রান্ত। দুজনের লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হিরাপুর থানার বার্ণপুরের ৬০ বছরের প্রৌঢ়া ক্যান্সার সহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাকে বুধবার সকালে জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে ভর্তি করার মিনিট ১৫ এর মধ্যে তার মৃত্যু হয়। অন্য রানিগঞ্জের মধ্য বয়সের এক ব্যক্তি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আইসোলেশান ওয়ার্ডে ভর্তি হন। করোনার উপসর্গ থাকায় তারও লালারস পরীক্ষা করা হয়। তারও রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু তাকে দূর্গাপুরের কোভিড ১৯ হাসপাতালে পাঠানোর আগে, এদিন সকালে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, আসানসোলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর বা সিএমওএইচ অফিসে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা হাসপাতাল চত্বরে কর্মী আবাসনের বাসিন্দা ঐ কর্মীর লালারস পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। এদিন সকালে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদিন দুপুরে তাকে দূর্গাপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ আটকাতে মহকুমা প্রশাসন বুধবার থেকে আসানসোলের সাতটি থানার ৬৭ টি বাজার ও এলাকা ভিত্তিক দোকান খোলার সময় নিদিষ্ট করে দিয়েছে। বলা হয়েছে, সকাল আটটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দোকান ও বাজার খোলা থাকবে। তারপর বন্ধ হবে। এদিন সকাল থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশ মেনে চলার প্রচার চালানো হয়। দুপুর একটার পরে সব থানার পুলিশ রাস্তায় নামে। যারা দোকান খুলে রেখে ছিলো, তাদের বন্ধ করানো হয়। মহকুমাশাসক দেবজিৎ গাঙ্গুলি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।