আসানসোলে করোনা আক্রান্ত হয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু / সালানপুর ব্লকে একদিনে করোনা পজিটিভ ১১ জন / চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালের নার্স সহ আক্রান্ত ৬ /সংক্রমণ আরপিএফ ব্যারাকেও


বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৭ আগষ্টঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের সালানপুরে রেল শহর চিত্তরঞ্জন ও রূপনারায়নপুরে করোনার প্রকোপ বেশ ভয়াবহ আকার নিলো। সোমবার এক দিনে ১১ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গেল। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, মাত্র ৬২ জনের মধ্যে ১১জন করোনা পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালের নার্স, সাফাই কর্মী , এ্যাটেনডেন্ট, ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট যেমন আছেন, তেমনই আছেন আরপিএফ জওয়ান ও সাধারণ মানুষ। তাদের বাড়ি চিত্তরঞ্জনের বিভিন্ন এলাকায়। তেমনই পার্শ্ববর্তী মিহিজামেরও কয়েকজন বাসিন্দার রিপোর্ট এদিন করোনা পজিটিভ এসপছে।
এছাড়াও রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যক্তি এদিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কল্যাণগ্রামের যে ব্যবসায়ী পরিবারের তিনজনের লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিলো রবিবার। এদিন সেই পরিবারের এক ২৩ বছরের যুবতীও করোনা আক্রান্ত হয়েছে।
রবিবার চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে ৩৭ জনের রেপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ৯ জনের। এদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ৬ জন মহিলা। কেজি হাসপাতালে অন্যান্য চিকিৎসার সঙ্গেই পৃথক বন্দোবস্ত করে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। সেখানেই ৬ জন করোনায় আক্রান্ত বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়। তাদের মধ্যে ৩ জন নার্স। ২ জন নার্স আইসোলেশন ওয়ার্ডে ও ১ জন নার্স সাধারণ ওয়ার্ডে কাজ করেন। এছাড়াও আইসোলেশন ওয়ার্ডের ১জন এ্যাটেনডেন্টও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও ১ জন সাফাই কর্মী ও ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট পজিটিভ হয়েছেন।
এছাড়াও জানা যায়, রেল শহরের আরপিএফ ব্যারাকের এক জওয়ান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে পিঠাইকেয়ারি হাসপাতালে ২৫ জনের পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ২জনের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন রূপনারায়নপুর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকার ও কল্যাণ গ্রামের এক যুবতী আছে। রবিবার কল্যাণগ্রামে একই পরিবারে যে ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, আসানসোল জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে সোমবার সকালে বছর ৬১ এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আসানসোলের ২ নং মহিশীলা কলোনির বাসিন্দা, রাহালেনের ঔষধ ব্যবসায়ী ঐ ব্যক্তি রবিবার রাতে শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়। পরে জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তার লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদিন আসানসোল জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে ভর্তি আরো ৩ জনের লালারসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদিন সন্ধ্যায় তাদের দূর্গাপুরের কোভিড ১৯ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
