CAA,NPR,NRC ভারতীয়দের জন্য ভয়ঙ্কর : মুকুল চন্দ্র বৈরাগ্য
অগ্নিকন্যা ভবনে তৃণমূল উদ্ধাস্তু সেলের পক্ষ থেকে কর্মীসভার আয়োজন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : আসানসোলের তৃণমূল প্রধান কার্যালয় অগ্নিকন্যা ভবনে তৃণমূল উদ্ধাস্তু সেলের পক্ষ থেকে একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। ওই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন উদ্দেশ্য সেলের রাজ্য সভাপতি মুকুল চন্দ্র বৈরাগ্য। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ও আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র কুমার তিওয়ারি, পশ্চিম বর্ধমান উদ্বাস্তু সেলের নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি ও আসানসোল কর্পোরেশনের বোরো ইন চার্জ কল্যাণ দাশগুপ্ত, কর্পোরেশনের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায়, তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি রবিউল ইসলাম, বোরো চেয়ারপার্সন মানস দাস, সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী সমাজসেবী বুম্বা মুখার্জি ছাড়াও অন্যান্য নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
ওই সভায় উদ্বাস্তু সেলের রাজ্য সভাপতি মুকুল চন্দ্র বৈরাগ্য বলেন CAA,NPR,NRC ভারতীয়দের জন্য ভয়ঙ্কর। CAA-2019 নাগরিকত্ব আইনে ওপার বাংলা থেকে আগত মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি বরং নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে বিদেশি বানানো হচ্ছে। তিনি বলেন নির্বাচন কমিশনের ৬ নম্বর ফর্মে জাতীয় নাগরিক না হলে ভোটার তালিকায় নাম ওঠে না। আইন অনুযায়ী প্রতিটি ভোটার ভারতীয় নাগরিক। পাশ হওয়া CAA মাধ্যমে নিজেকে বিদেশি ঘোষণা করে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে অর্থাৎ কৌশলে বিদেশি বানিয়ে নাগরিকত্ব হরণ করার চক্রান্ত হচ্ছে।
নাগরিকত্ব রক্ষার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই রাজ্যে CAA, NPR, NRC কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং রাজ্যের সমস্ত উদ্বাস্তু কলোনিকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়েছেন।”
কে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন উদ্বাস্তুদের কলোনি সম্পর্কিত সমস্যার সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্বাস্তু সেলের সূচনা করে মুকুল চন্দ্র বৈরাগ্য কে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়েছেন। বোরো ইন চার্জ কল্যাণ দাশগুপ্ত কে উদ্বাস্তু সেলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উদ্বাস্তু সেল পশ্চিম বর্ধমানের উদ্বাস্তুদের সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা নেবে এটাই তিনি আশা করেন।
উদ্বাস্তু সেলের রাজ্য সভাপতি মুকুল চন্দ্র বৈরাগ্য উপস্থিত সমস্ত নেতা কর্মী সমর্থকদের অনুরোধ করেন তারা যাতে ভোটাধিকার, জমি-বাড়ি, সরকারি চাকরি এবং নাগরিকত্ব বাঁচাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে সর্বস্তরে শক্তিশালী করেন।
অনুষ্ঠানটিতে উদ্বাস্তু সেলের পক্ষ থেকে বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উদ্বাস্তু সেলের জেলা সভাপতি পদ পাওয়ার কারণে ওই অনুষ্ঠান হবার পর কল্যাণ দাশগুপ্তকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।