নেতাজির মূর্তি একটি অংশ ভেঙে দেয়া হলো
বেঙ্গল মিরর, বারাবনি, মনোজ শর্মা। বারাবনি ব্লকের জাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কাপিস্টা মোরে নেতাজির মূর্তি একটি অংশ ভেঙে দেয়া হলো। এর প্রতিবাদ করে এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ওই মূর্তির প্রতিষ্ঠাতা স্থানীয় বিবেকানন্দ ক্লাবের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার আসানসোলের মহকুমাশাসক দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বারাবনির বি ডি ও সুরজিৎ ঘোষ, বারাবনি থানার আধিকারিক এবং স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কে লিখিতভাবে অভিজোগ করা হয়।
বারাবনি ব্লকের বিডিও সুরজিৎ ঘোষ এই সময়কে জানান তিনি মঙ্গলবার বিকেলে খবর পেয়েছেন এবং তিনি বারাবনি থানা পুলিশের সাথে কথা বলে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের জন্য বলেছেন। একইসঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত ওই ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করে দেবেন। সহকারি পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) শান্তব্রত চন্দ্র বলেন ইতিমধ্যেই বারাবনি থানা কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দোষীকে খুঁজে বার করতে। এই ঘটনার নিন্দা করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়।
কাপিস্টা মোরে বিবেকানন্দ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীনেশ কর্মকার জানান এখানে আমরা 2২০১০ সালে বিবেকানন্দের মূর্তি এবং ২০১৩ তেরো সালের ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করি। সেই সময় নেতাজির এই মূর্তির উদ্বোধন করেছিলেন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী রামানন্দজি মহারাজ। আমরা বাঁকুড়ার শুশুনিয়া এলাকার শিল্পীদের কাছ থেকে এই মূর্তি তৈরি করে এনেছিলাম । একটিমাত্র পাথরের উপর কেটে নেতাজির চশমা, পোশাক সব তৈরি করা হয়েছিল ।সোমবার দুষ্কৃতীরা নেতাজির চশমাটি ভেঙে দিয়েছে।
মঙ্গলবার এটা দেখার পর এই আমরা ক্লাবের সদস্যরা জরুরিভিত্তিতে আলোচনা করে আসানসোলের মহকুমা শাসক, বারাবনির বিডিও, বারাবনি থানার ওসি এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি ।নেতাজির পাশেই বিবেকানন্দের মূর্তি আছে। এই ক্লাবে বহু বছর ধরে নেতাজি, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। যারা এই কাজ করেছেন তারা সুস্থ সংস্কৃতি বিপক্ষে বলে আমরা মনে করি। এখানকার ক্লাব সভাপতি প্রাইভেট শিক্ষক প্রদীপ চক্রবর্তী এবং স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা স্বপন চক্রবর্ত্তী বলেন আমাদের নিন্দার ভাষা নেই।
প্রদীপ বাবু বলেন সেই শুশুনিয়া থেকে কি কষ্ট করে মূর্তিটা তৈরি করি এনেছিলাম। আজকে দেখে চোখ দিয়ে জল পরছে। এমন ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে শুধুই পাথরের মূর্তি আক্রান্ত হচ্ছে তাই নয় তাদের আদর্শ আক্রান্ত হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। মহকুমা শাসক দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন আমার হাতে এখন অভিযোগ পত্র এসে পৌঁছয় নি। কিন্তু আমি শোনার পর এই বিষয়টি বিডিওকে দেখতে বলেছি এবং আমিও চাই এ ব্যাপারে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।