ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী পালনের মধ্য দিয়ে শুরু পড়াশোনা
কুলটির যৌন পল্লীর জনকল্যাণ কেন্দ্র


বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৬ সেপ্টেম্বরঃ আসানসোলের কুলটির সীতারামপুরের লছিপুর দিশা জনকল্যাণ কেন্দ্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মদিনকে একটু অন্যভাবে পালন করা হলো শনিবার ৷ সকালে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যাদানের পাশাপাশি এক অনুষ্ঠানে হয়। পরে এদিন থেকে সেখানে নিয়মিত পড়াশোনা শুরু করা হল ৷

আসানসোলের ইষ্টার্ণ রেলওয়ে হায়ার সেকেণ্ডারী স্কুলের শিক্ষক বিশ্বনাথ মিত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, সমাজের চরম অবহেলিত এখানকার প্রায় সকল পড়ুয়ারা ৷ তাদের বাড়ির পরিবেশ এমনই প্রতিকূল যে ইচ্ছে থাকলেও ঘরে বসে পড়বে তার উপায় নেই ৷ ৷ স্কুলেই বলতে গেলে যতটুকু পড়া হয় ৷ কিন্তু করোনা আবহে গত ৬ মাস বন্ধ সেই লেখাপড়াও ৷ য
ৌনকর্মী ছাড়াও আশেপাশের এলাকার অনেক দিনমজুরের ছেলেমেয়েরাও এখানে পড়তে আসে ৷ তিনি আরো বলেন, এদিন থেকে যে কোন ছেলেমেয়েদের জন্য এই এখানে পড়াশোনার দরজা খুলে গেলো।
উল্লেখ্য, আমেরিকাবাসী প্রবাসী ভারতীয়দের অনলাইন গ্রুপ “হেল্প ফর সীতারামপুর” এর টাকায় গত দুই মাস ধরে এখানে প্রতিদিন প্রায় ১১০ জন পড়ুয়াদের জন্য কমিউনিটি কিচেনে দুপুরের খাবার খাওয়ানো হচ্ছে ৷ এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের শিক্ষাদানের জন্য রোজগারশূন্য ৩ শিক্ষিকাকে সাম্মানিক দেওয়া হচ্ছে। তাদেরই একজন শিক্ষিকা কৃষ্ণা পাল বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই প্রতিদিন ঘন্টাখানেক পড়ানো হবে ৷
আমেরিকার ফেয়ারফ্যাক্স শহরের প্রবাসী ভারতীয় সমীর নন্দীর সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শুধু প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবারই যথেষ্ট নয় ৷ সার্বিকভাবে শিশুর মনুষ্যত্বের বিকাশের উদ্দেশ্যে আমরা চেয়েছিলাম অবিলম্বে লেখাপড়া শুরু হোক ৷ তা এদিন থেকে শুরু করা হলো।
এদিনের অনুষ্ঠানে বিশ্বনাথবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দিশার দেবু অধিকারী, টুম্পা সিনহা সহ অন্যান্য শিক্ষিকারা ৷