রাজ্যপাল মোদির সঙ্গে লাইন করে রাজ্যে টিকে আছেন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
“রাজ্যপাল আইনজীবী ঠিকই কিন্তু তার সঙ্গে তিনি লাইনজীবিও বটে মোদির সঙ্গে লাইন করে তিনি রাজ্যে টিকে আছেন” এভাবেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোলের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র মন্ত্যব্যেকে কটাক্ষ করে পাল্টা দিলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বস্তুত: বুধবার বিকেলে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বাবুল বলেন,” রাজ্যপাল একজন সিনিয়র আইনজীবী। তিনি স্বনামধন্য আইনজীবী প্রথমে এবং পরে তারপর তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন রাজ্যপালের। তিনি যা বলেন সংবিধানের প্রতি সম্মান রেখেই বলেন। সংবিধান তাকে অধিকার দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কে প্রশ্ন করার এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য। রাজ্য দিনের-পর-দিন বিজেপি নেতা কর্মীরা খুন হয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা রাজ্য সরকার। ডিজি এবং চিফ সেক্রেটারিকে সকাল দশটায় দেখা করবার সময় দিলে তারা ১০:৪৫ এ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন।এটি অসম্মান রাজ্যপালের প্রতি।”
সাংসদকে করোনার সময় দেখতে পাওয়া যায়নি
আর এরপরই আজ দুপুরে আসানসোলের তৃণমূলের অগ্নিকন্যা ভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এর জবাব দিলেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মেয়র বলেন, “এলাকার সাংসদকে করোনার সময় দেখতে পাওয়া যায়নি এখন তিনি এসে রাজ্য সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় করা কাজগুলি নিজের করা বলে বলার চেষ্টা করছেন। কিছু বলতে গেলে তিনি বলছেন দু’লক্ষ ভোটে তিনি জিতেছেন দু’লক্ষ ভোটে অবশ্যই তিনি জিতেছেন কিন্তু সেটি জনতার ভোটে জেতা।তাই তিনি যা খুশি করে যাবেন এবং বলে যাবেন সেটা মানুষকে তাকে সহ্য করতে হবে সেটি ঠিক নয়। এলাকার সাংসদ বিভিন্ন জায়গায় বোর্ড লাগিয়েছেন যে তার উদ্যোগে বিভিন্ন কাজগুলি হয়েছে কিন্তু যেখানে কাজ হয়নি সেখানে তিনি পরিদর্শনে যান না।”
এছাড়া মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বাবুল সুপ্রিয়কে “বুলবুল সুপ্রিয়” বলেও কটাক্ষ করেন। কারণ হিসেবে বলেন তিনি বুলবুল পাখির মতো তিনি উচ্চস্বরে কথা বলেন ঠিকই কিন্তু তার বেশিরভাগই অসত্য কথা।
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় “শহর অরণ্য প্রকল্পের জন্য মেয়রকে যে চিঠি দিয়েছেন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তিনি অবশ্যই সেই চিঠি পেয়েছেন কিন্তু সেল এবং রেল দুটোই যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা তাই তাদের সঙ্গে কোঅর্ডিনেট করে জমি হস্তান্তর করলে তারা নিশ্চয়ই সদর্থক ব্যবস্থা নেবেন।
এরইসঙ্গে মেয়র আসানসোল রবীন্দ্রভবন এর পেছনেই আসানসোল কর্পোরেশনের উদ্যোগে স্বনামধন্য কবি সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী – র স্মরণে “সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী নিরালা ভবন” নামক একটি গেষ্ট হাউস তৈরি করা হবে।
আজকের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের স্পক্স পারসন এবং রাজ্যের শিক্ষক নেতা অশোক রুদ্র, জেলার দুই কোঅর্ডিনেটর শ্রমিক নেতা হরেরাম সিং, বিশ্বনাথ পারিয়াল।
তারাও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেন।