ASANSOLBengali NewsNationalPoliticsWest Bengal

উস্কানি দেওয়ার কারণ দেখিয়ে বিজেপির কৈলাশ বিজয়বর্গীর বিরুদ্ধে এফআইআর।

বেঙ্গল মিরর, কলকাতা, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
কলকাতা পুলিশ কৈলাস বিজয়বর্গিয় সহ বিজেপির একাধিক প্রবীণ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কৈলাশ বিজয়বর্গিয় ছাড়াও জনসভার জন্য কলকাতা পুলিশ মুকুল রায়, লকেট চ্যাটার্জী, অর্জুন সিংহ আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গত ৮ ই অক্টোবর বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয়ের (নবান্ন) অভিযান কে সামনে রেখে পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ ব্যাপারে একই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তথ্য অনুসারে, এই নেতাদের বিরুদ্ধে ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাথে অভদ্রতা, নবান্নের দিকে যাওয়ার সময় নিরাপত্তায় থাকা পুলিশকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করা, ট্রাফিক যোগাযোগ কে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পত্তির ক্ষতি যেমন লোহার গার্ডরেল ভাঙ্গা, কাঠের ডাল, লোহার ফেস শিল্ড ইত্যাদি ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরের মধ্যে ৭ জন নামী অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ আরও তদন্ত করছে।

তথ্য অনুসারে, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আইপিসির ১৪৪/১৪৭/১৪৯ / ৩৩২ / ৩৫৩ / ২৮৩ ধারার পাশাপাশি ডিএম আইনের ৫১ (বি) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৩, পি.ডি.পি.পি আইনও এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে।

পুরো বিষয়টি কী ছিল

বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় পুলিশ ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। আসলে, বিজেপি যুব মোর্চা নবান্নে (রাজ্য সচিবালয়) যাত্রা করার প্রস্তুতি নেয়। যার কারণে পুলিশ হাওড়া ব্রিজ ও বিদ্যাসাগর ব্রিজ বন্ধ করে দেয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেডিং করা হয়।

তবে, কলকাতা পুলিশের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, বিজেপি তার পদযাত্রা শুরু করে, যা বন্ধ করার সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। পুলিশ যখন বল প্রয়োগ করে, তখন বিজেপি কর্মীরা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। জবাবে, কলকাতা পুলিশ লাঠিচার্জ এবং ওয়াটার ক্যানন ব্যবহার করে। এর পরে সেখানে হতাহত হয়। এসময় অনেক বিজেপি কর্মীর আহত হওয়ার তথ্যও প্রকাশিত হয়েছিল।
এ ব্যাপারে এক বিজেপি নেতার পাঞ্জাবি বডিগার্ড যিনি প্রাক্তন সেনাকর্মী আর্মি কমান্ডো ছিলেন তাকে পুলিশের পক্ষ থেকে মারধরের অভিযোগ ওঠে যার কারণে তার পাগলি খুলে যায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সোশ্যাল মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পেজে উল্লেখ করেছে যে ধস্তাধস্তির সময়ে সেই পাগড়ী খুলে যায় এবং তারা পাগড়ী বেঁধে নিতে বলে।

Leave a Reply