সালানপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রশাসনিক বৈঠক
বেঙ্গল মিরর, মনোজ শর্মা ও রিক্কী বাল্মীকি, সালানপুর:- আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে সালানপুর থানার উদ্যোগে রূপনারায়নপুর নান্দনিক হলে আয়োজিত হল সালানপুর ব্লকের ৩৭ টি দুর্গাপূজো কমিটির উদ্যোক্তাদের সাথে বৈঠক। এই বৈঠকে বিশেষ ভাবে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি অনমিত্র দাস,এসিপি শান্তব্র্ত চন্দ্র,সালানপুর ব্লক আধিকারিক তপন সরকার , সালানপুর থানার ইনচার্জ পবিত্র গাঙ্গুলি, কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির ইনচার্জ অমর নাথ দাস, রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ সিকান্দার আলম ,
সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ – সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান ,সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক ভােলা সিং সহ অনেকে ।




এই বৈঠকের মধ্যে এডিসি অনমিত্র দাস জানান করোনার পরিস্থিতিতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই এবছর পুজো মন্ডবে বিভিন্ন নিয়মাবলী বেঁধে দেওয়া হয়েছে যা সকল পুজো উদ্যোক্তাদের মেনে চলতে হবে ।
বিশেষ করে তিনি জানান তিন দিক খােলা পূজা প্যান্ডেল করতে হবে,প্যান্ডেলে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার অবশ্যই রাখতে হবে।
ফুল ছাড়া পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে,তা নাহলে সকলকে বাড়িথেকে ফুল আনতে বলতে হবে।
তাছাড়া পুজো উদ্বোধন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্যান্ডেলের আশেপাশে কোনরকম দোকান দানি রাখা যাবে না।
এছাড়াও পুজোকে কেন্দ্র করে কোনরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। পুজোয় ডিজে সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করে বলা হয়েছে মাইকের আওয়াজও যথেষ্ট কম করতে হবে। অভিযােগ এলে মাইক বাজেয়াপ্ত করবে পুলিশ।
এছাড়াও পুজোর সময় রাস্তায় মাস্ক ছাড়া কোন ব্যক্তিকে দেখতে পেলে পুলিশ তাকে অবশ্যই গ্রেফতার করবে এবং কোন প্রভাব খাটিয়ে তাকে ছাড়ানাে যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।এছাড়া ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে। এর সাথে বেশি করে স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে যাতে ভীড় নিয়ন্ত্রণ করে ।
সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হল
এদিন সালানপুর ব্লক আধিকারিক তপন বাবু জানান সালানপুর ব্লকের ৩৭ টি পুজো কমিটিকে এবার দুর্গা পুজোর আয়ােজন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে মোট সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হল। গতবছর এই ব্লকে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত পুজো কমিটি ছিল ২৭টি ,এবার আরও ১০টি কমিটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ।
তবে করােনা পরিস্থিতি মােকাবিলা করার জন্য সমস্ত রকম সরকারি সর্তকতা মেনে না চললে সামনের বছর সরকারি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে পুজো কমিটিগুলি সমস্যায় পড়বে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের এদিন পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়।