আসানসোল শিল্পাঞ্চলের চিকিৎসা জগতে নক্ষত্র পতন
ডাঃ পিকে ব্যানার্জির (সিনিয়র) মৃত্যু
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: শিল্পাঞ্চলের চিকিৎসা জগতের নক্ষত্র পতন। শিল্পাঞ্চলের খ্যাতনামা চিকিৎসক ডাঃ পিকে ব্যানার্জির (সিনিয়র) বুধবার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে শিল্পাঞ্চলে সর্বত্র শোকের আবহ। তিনি একজন নামী চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন সমাজকর্মীও ছিলেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির লোকেরা তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি ঊষাগ্রামের টেগোর রোড স্থিত তার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর মৃত্যুতে শ্রম আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, কর্পোরেশনের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ডের চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি, সিনিয়র সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট নরেশ আগরওয়াল ,সেক্রেটারি শম্ভুনাথ ঝা, ফাসবেকি সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দত্ত, ক্রেডাই এর বুলু চ্যাটার্জী, বিনোদ গুপ্ত, আরজেডি সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ সিং প্রমুখ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সিনিয়র সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য বলেন যে, ডঃ ব্যানার্জি কেবল একজন দক্ষ চিকিৎসকই ছিলেন না, তিনি সমাজসেবক ও সংস্কৃতি প্রেমীও ছিলেন।
এদিকে বর্ষিয়ান মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ ড: আর কে ব্যানার্জি বলেন, আর একসময়ের সহকর্মী ছিলেন ডক্টর পিকে ব্যানার্জি। এছাড়া কলেজের সহপাঠী ছিলেন তিনি। অনেক স্মৃতি রয়েছে তার সঙ্গে কাজ করার। আসানসোল জেলা হাসপাতাল ( তৎকালীন এসডি হসপিটাল) এর কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি।
এদিকে দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ড: ইন্দ্রনীল ব্যানার্জি বলেন, তার পিতা ড: আর কে ব্যানার্জীর সহকর্মী হিসেবে তাদেরও পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ড: পি কে ব্যানার্জির স্ত্রী বছর দুই তিন হল গত হয়েছেন। দুই ছেলে একজন বাপটু এবং বাবান। একজন সিনেমা, সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট রাইটার এবং অন্যজন ইঞ্জিনিয়ার। দুই ছেলেই কলকাতায় কর্মরত। শেষ দিন পর্যন্ত বাড়িতে কাজের লোক তপু, বাবুয়া এবং স্বপন তার সেবা করে গিয়েছেন।