ASANSOLBengali NewsDURGAPUR

বন্ধ সমর্থকদের উপর পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে করল জাতীয় সড়ক অবরোধ

শ্রমিকের উপস্থিতি কম, তবে উৎপাদন সেরকমভাবে ব্যাহত হয় নি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, শুভ চ্যাটার্জী:- পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় পিকেটিং করে। দুই নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে, রেললাইনের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করে। তবে সব জায়গাতেই পুলিশ সবাইকে সরিয়ে দেয়। যখন দুর্গাপুরের ডিভিসি মোরে দুই নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তখন ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

সিপিআইএম-এর জেলা কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, এভাবে পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে বামফ্রন্টকে আটকানো যাবেনা। কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে তারা রাস্তা থেকে সরবে না। তারা রাস্তায় থেকে আন্দোলন করে এই জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করা হয়েছে বন্ধের বিরুদ্ধে।

পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবক্তা বিশ্বনাথ পারিয়াল বলেন, কারখানাগুলোতে শ্রমিকের সংখ্যা কম থাকলেও উৎপাদন কোনোভাবেই ব্যাহত হয়নি। তাদের শ্রমিকরা উৎপাদন ঠিকঠাক রেখেছে।। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর পক্ষ থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী সমস্ত জায়গায় মোতায়েন করা ছিল। যেখানেই বন্ধ সমর্থকরা সরকারি বা বেসরকারি বাস আটকে পরিবহন ব্যবস্থাকে অচল করার চেষ্টা করছিল, সেখানেই তারা এসে তাদের সরিয়ে দিয়ে যানবাহন ব্যবস্থা সচল রাখার ব্যবস্থা করে।

দুর্গাপুরে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ

আসানসোলের বেশ কিছু জায়গায় ছোটখাটো ঝামেলার খবর পাওয়া গেছে যেমন রামবন্ধু তলাতে সিপিএমের বাইক রেলী আটকে দেয় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। কেড়ে নেয় গাড়ির চাবি। তারপরেই শুরু হয় ঝামেলা অশান্তি। সিপিএম সমর্থকরা অবরোধ করে দেয় গোটা রাস্তা। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে গাড়ির চাবি ফেরত দিয়ে ঝামেলা শান্ত করে।

টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ

দফায় দফায় সিপিএম কর্মীরা আসানসোল শিল্পাঞ্চলে মিছিল, মোটরসাইকেল মিছিল বের করে । অন্যদিকে দুর্গাপুরে দেখা যায় সিপিএম ও কংগ্রেস সহ অন্যান্য দল বিভিন্ন জায়গায় মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করে। এককথায় পুরো এলাকায় উত্তেজনা প্রবণ অবস্থায় পুলিশ প্রশাসন সর্বদায় উত্তেজনাকে ঠান্ডা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোলিয়ারি গুলোতে শ্রমিকের সংখ্যা কম ছিল ,যার ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য কারখানায় শ্রমিকের সংখ্যা কম থাকলেও উৎপাদন সেভাবে ব্যাহত হয়নি বলে দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের।

এককথায় সমর্থকরা রাস্তায় থাকলেও সরকারি বেসরকারি বাস বেশ কয়েকটি চলতে দেখা গেছে। চলতে দেখা গেছে অটো টোটো। তবে বিভিন্ন জায়গায় সমর্থকরা সে সমস্ত গাড়ি থেকে যাত্রী নামিয়ে দেওয়া, গাড়িকে ঘুরিয়ে দেওয়া। এসব করলেও সব মিলিয়ে খুব প্রয়োজন যাদের রয়েছে তারা বাড়ির বাইরে বের হয়েছে নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য।। দেখা গেছে আসানসোলের মুখ্য ডাকঘর খোলা ছিল, দেখা গেছে পুরনিগম খোলা ছিল। উপস্থিতির সংখ্যা ও কিছু কম ছিল না শুধু বাইরে থেকে যারা আসে তারা পরিবহন ব্যবস্থা অন্যান্য দিনের মতো সচল না থাকার জন্য তারা আসতে পারেনি।।

Leave a Reply