রাজ্যে বদল হবে, বদলাও নেওয়া হবে, জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে কয়লা মাফিয়ার ডন বলে আক্রমণ
আসানসোলে বিজেপির মিছিল থেকে রাজু বন্দোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারী
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৬ ডিসেম্বরঃ আঘাত দেওয়া হলে কি হবে? প্রতিবাদ হবে। প্রত্যাঘাত হবে। প্রতিরোধ হবে। সংবিধান সেই অধিকার আমাদের দিয়েছে। সঙ্গে বদল হবে। বদলাও নেওয়া হবে। রবিবার বিকালে আসানসোল শহরে দলের এক মিছিলে অংশ নিতে এসে এমনই হুঁশিয়ারী দিলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি তথা রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দোপাধ্যায়।
এদিন আসানসোলের জিটি রোডের গীর্জা মোড় থেকে ” আর নয় অন্যায়”র স্লোগান নিয়ে আসানসোল উত্তর বিধানসভার ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার তরফে হওয়া মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজু বন্দোপাধ্যায়। এছাড়াও ছিলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, আশা শর্মা, সুদীপ চৌধুরী, ডাঃ দেবাশীষ সরকার, প্রশান্ত চক্রবর্তী, শিবরাম বর্মন ও মদন চৌবে।
ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেওয়ার হুমকি দিয়ে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ক্ষমতায় এলে বিমল গুরুং, ছত্রধর মাহাতো, জিতেন্দ্র তেওয়ারি কাউকেই ছাড়া হবে না। আসানসোলের জিতেন্দ্র তেওয়ারি কয়লা মাফিয়াদের ডন। একইসঙ্গে সে সুপারি কিলার ও সার্প শুটার। তাকে জেলের ভাত খাওয়ানো হবে।
বিমল গুরুং যখন বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মামলা দিয়েছিল। তখন বিমল গুরুং পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এখন সেই পুলিশই স্কট করে সভাতে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, একশ্রেণীর পুলিশ তৃণমূলের দালাল হয়ে গেছেন। তাঁরা সংবিধান মানেন না। আইনের শাসন মানেন না। একদিকে মাওবাদীদের নেতা ছত্রধরকে মমতা বন্দোপাধ্যায় সভায় নিয়ে যাচ্ছেন, অন্যদিকে গুরুংকে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ ভোটের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীচে নেমে গেছেন।
ঔরঙ্গজেব শাজাহানকে জেলে পাঠিয়েছিল, শাজাহান তার বাবা ছিলো
রাজু বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, ঔরঙ্গজেব শাজাহানকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। শাজাহান তার বাবা ছিলো। এর বেশি কিছু আর বলবো না। বাকিটা সবাই বুঝে নেবেন।