আবার বিস্ফোরক মন্তব্য পুরনিগমের পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তেওয়ারির
কুলটিতে বৈদ্যুতিক চুল্লি উদ্বোধন
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৩ ডিসেম্বরঃ পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ ওরফে ববি হাকিমকে চিঠি দেওয়া নিয়ে বাকযুদ্ধ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চরমে উঠছে। আসানসোলের কুলটিতে ডিসেরগড়ে বৈদ্যুতিক চুল্লি উদ্বোধন করে তিনি বলেন, কলকাতা এগিয়ে গেলে আমরা খুশি হই । আসানসোল এগিয়ে গেলে অনেকেই এমন আছেন যারা দুঃখ পান । তারা দুঃখ পেলে ঘরে থাকুন। আসানসোল এগোলে আসানসোলের মানুষের ভাল হবে। আসানসোলের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য যদি চেয়ার ছাড়তে হয় তাতেও আমি রাজি আছি ।
আমি কৃতজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে
কলকাতায় বসে কেউ যদি ভাবেন চেয়ার, গাড়ি, সিকিউরিটি দিয়েছি। কিন্তু তুমি আসানসোল নিয়ে কিছু কথা বলতে পারবে না । সেটা তো হবেনা। কলকাতার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। তাহলে আমি বলবো এমন চেয়ার ও সিকিউরিটি ও গাড়ির দরকার নেই। এই শহর আমার প্রাণকেন্দ্র। এখানকার মাটি আমার নিজের মাটি । এখানকার মানুষ যা চাইবেন আমি তাই করবো। আমি কৃতজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি আসানসোলের উন্নয়নে বরাবর আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। এই শহর যাতে এগিয়ে যায়।
পাকিস্তানের কথায় চলছেন নাকি ইমরান খানের কথায়
আশা করি এই বৈদ্যুতিক চুল্লি তারই একটা অঙ্গ ।এটা কলকাতার ঘরে বসে কেউ ভাবেননি আমরাই ভেবেছিলাম যে এমন একটা চুল্লি এখানে প্রয়োজন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, বিজেপি গ্যাস খাইয়ে দেয় কোথাও কোথাও। সেজন্য এমন অনেকে হয়তো বলতে পারেন। তার উত্তরে জিতেন্দ্র বলেন, তাহলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্যাস খেয়ে উনি এইসব বলছেন। এরপর তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ফিরহাদ হাকিম বলছেন, তিনি বিজেপির পায়ে পা দিয়েছেন। এর উত্তরে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, উনি কি তাহলে পাকিস্তানের কথায় চলছেন নাকি ইমরান খানের কথায় এইসব বলছেন ।
সরাসরি তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বললে আমি শুনবো। অন্য কারোর কথা আমি শুনতে রাজি নই। এখান থেকে প্রচুর টাকা রাজস্ব তুলে নিয়ে যাবে আর এখানে দেবে না এটা আমি বলেছি। কথায় কথায় সবাইকেই উনি বিজেপি বানিয়ে দেন এটা ঠিক নয়। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন দরজা খোলা আছে। এর উত্তরে উনি বলেন দরজা বন্ধ রাখুন চোর ঢুকতে পারে।