ASANSOLBengali News

বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আইনজীবীকে উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৫ ডিসেম্বরঃ আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ আসানসোলের নর্থ হিলভিউ পার্ক এলাকার একটি বাড়ি থেকে একজন আইনজীবিকে বৃহস্পতিবার রাতে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিস জানায় , বছর ৩২ এর অম্লান চৌধুরী নামে ঐ আইনজীবীর বাড়ি আসানসোলের চেলিডাঙ্গায়। তিনি আসানসোল জেলা আদালতের আইনজীবী ছিলেন। পুলিশ গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথম আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে জেলা হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় দূর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ঐ আইনজীবীর শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার শরীরে একাধিক ক্ষত বা ইনজুরি রয়েছে। সম্ভবতঃ ধারালো ছুরি, ব্লেড বা ক্ষুর জাতীয় কিছু দিয়ে তার ঘাড়, গলা ও মুখে মারা হয়েছে।


পুলিশ জানায়, আইনজীবী অম্লান চৌধুরী মায়ের সঙ্গে চেলিডাঙ্গায় থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতে অম্লান চৌধুরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় যে বাড়ি থেকে পাওয়া যায়, সেই বাড়ির মালিকের নাম হলো শুশান্ত চট্টোপাধ্যায়। তিনি গত দুবছর ধরে এই বাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে হিলভিউ এলাকায় অন্য একটি বাড়িতে থাকছেন। তার ওই বাড়িটি তালা বন্ধই থাকতো। তিনি এই বাড়িটি বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন। বাড়ির চাবি অম্লান চৌধুরীর কাছে থাকতো।

বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখে অম্লানবাবু রক্তাক্ত অবস্থায়

বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পায় যে, ঐ বাড়ির দরজার তালা খোলা অবস্থায় রয়েছে। বাড়িতে চুরি হয়েছে বলে অনুমান করেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে তারা শুশান্তবাবুকে ফোন করেন। শুশান্তবাবু তা শুনে আসানসোল দক্ষিণ থানায় খবর দেন। পুলিশ এলাকায় এসে বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখে অম্লানবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছে।

পুলিশ দেখে তার গলা ও ঘাড়ে ধারালো কোন অস্ত্রের একাধিক আঘাত রয়েছে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে।
দক্ষিণ থানার পুলিশ জানায় , বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ঐ আইনজীবী। তার মা ছেলে যে নিখোঁজ রয়েছে, তার কোন অভিযোগ থানায় করেননি । জানা গেছে, মাঝেমধ্যেই ঐ আইনজীবী রাতে বাড়ি আসতো না।

বাড়ির মালিক সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় আমাদের খবর দিয়ে বলেন, তার বাড়ির দরজার তালা খোলা আছে।অনুমান, চাবি দিয়ে তালা খুলেই বাড়ির ভেতরে ঢোকা হয়েছে। আইনজীবির পরিবারের তরফে এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, ঐ বাড়িতে আর কেউ ছিলো কিনা? চিকিৎসক পুলিশকে জানান, উদ্ধার হওয়ার কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা আগের ঐ আঘাতের চিহ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *