আসানসোল পুরসভা কুলটি জল প্রকল্পের জন্য স্কচ সিলভার অ্যাওয়ার্ড পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা ব্যানার্জি, আসানসোল : নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ করা এবং একসঙ্গে লক্ষাধিক মানুষের জল প্রকল্প কার্যকরী করার জন্য আসানসোল পুরসভা কুলটি জল প্রকল্পের জন্য স্কচ সিলভার অ্যাওয়ার্ড পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে। আসানসোল পুরসভার কমিশনার নীতিন সিংহানিয়া এই খবর দিয়ে জানান পুরবোর্ডের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি থেকে শুরু করে ওই দপ্তরের মেয়র পরিষদ এবং ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা এই কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ করেছেন। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ছিল কুলটি জল প্রকল্প। জাতীয় স্তরে এই সম্মান অবশ্যই পুরসভার জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ কর্মী সকলকে আরো উৎসাহিত করবে এগিয়ে বাংলার ক্ষেত্রে।




পুরসভার বর্তমান প্রশাসক বোর্ডের সদস্য এবং জল বিভাগের দায়িত্বে থাকা বিদায়ী মেয়র পরিষদ পূর্ণশশী রায় বলেন বাম আমলে চৌত্রিশ বছরে কুলটির মানুষের জলের ব্যবস্থা করা যায়নি। আমরা ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ মেনে কাজ শুরু করি এবং ইতিমধ্যেই ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে। ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই কুড়ি হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে। আসানসোল পুরসভার মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার সুকোমল মণ্ডল বলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শুধু স্বপ্ন নয় প্রতিনিয়তই খোঁজ রেখেছিলেন এই জল প্রকল্প কতদূর এগুলো। তিনি এর উদ্বোধন করেছেন। ২২৫ কোটি টাকা ব্যয় করে ১২ মিলিয়ন গ্যালন প্রতিদিন জল সরবরাহেরব্যবস্থায় হয়।
এই প্রকল্পে কুলটির লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবেন। বহু বছর ধরে সেখানকার মানুষের চাহিদা ছিল পানীয় জলের। সেই চাহিদা পূরণ করা গেছে। এজন্য আগামী ৩১শে মার্চ নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ছিল কাজ শেষ করার। তার প্রায় ছয় মাস আগেই প্রকল্পটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। এই পুরস্কার পাওয়ার অন্যতম কারন সময়ের অনেক আগে প্রকল্প শেষ করা এবং খরচ মাঝপথের না বাড়িয়ে একই রাখা। দ্বিতীয়তঃ যে টেকনোলজিতে সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে ভারতবর্ষে জল প্রকল্প গুলোর ক্ষেত্রে তা একটি বিশেষ উদাহরণ বলে এই পুরস্কার মিলেছে। এতে সমস্ত স্তরের কর্মীরাই উৎসাহিত হয়েছেন।