ASANSOLBengali News

জামুড়িয়ার ঘটনা : সাক্ষ্যদান শেষে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত একজন

রায় ঘোষণা ৮ জানুয়ারি, জমি সংক্রান্ত বিবাদ

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৬ জানুয়ারিঃ আসানসোল আদালতে সাক্ষ্যদান শেষে বুধবার খুনের একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন এক ব্যক্তি। আসানসোলের জামুড়িয়া থানার সিদ্দপুরের বাসিন্দা দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির নাম দয়াময় মন্ডল। তবে সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে এই খুনের মামলায় দুজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তারা হলেন দয়াময় মন্ডলের স্ত্রী চন্ডী মন্ডল, এক পরিচিত দীপক পাল। তবে দয়াময় মন্ডলের মেয়ে শৈবা মন্ডলের মামলা জুভেনায়েল আদালতে এখনও বিচারাধীন রয়েছে।

Sample image

দয়াময় মন্ডলকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়

মামলা চলাকালীন মৃত্যু হয় দয়াময় মন্ডলের মা মায়ানি মন্ডলের। এদিন আসানসোল আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ (২) শরণ্যা সেন প্রসাদ সব সাক্ষ্যদান ও শুনানির শেষে দয়াময় মন্ডলকে ৩০২ নং ধারায় খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন। আগামী ৮ জানুয়ারি শুক্রবার এই মামলায় রায় দান করবেন বিচারক। এই মামলায় সরকারি (পিপি) আইনজীবী হিসাবে ছিলেন স্বরাজ ( বাচ্চু) চট্টোপাধ্যায়। জামিনে থাকায় এদিন বিচারক দোষী সাব্যস্ত করার পরে দয়াময় মন্ডলকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়।


জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২০ জুন সকাল সাতটার সময় জামুড়িয়া থানার সিদ্দপুর গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদন গরাই ছেলে ও দুই দিনমজুরকে নিয়ে গ্রামের জমিতে চাষের কাজ করছিলেন। সেই সময় গ্রামেরই বাসিন্দা দয়াময় মন্ডলের স্ত্রী চন্ডী মন্ডল সেখানে আসে ও মধুসূদনকে চাষের কাজ করতে বাধা দেয়।

এরপর একে একে সেখানে আসে দয়াময় মন্ডল, মা মায়ানি মন্ডল, নাবালিকা মেয়ে শৈবা মন্ডল ও এক পরিচিত দীপক পাল। জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে চরম বিবাদ হয়। আচমকাই পাশের জঙ্গল থেকে দয়াময় মন্ডল একটি কুড়ুল নিয়ে এসে মধুসূদন গরাইকে এলোপাতাড়ি কোপায়। জমিতেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মধুসূদনের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে দয়াময়রা পালিয়ে যায়।

এরপর মধূসূদনের বড় ছেলে প্রদীপ গরাই গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে জামুড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২, ১২০/বি ও ৩৪ নং ধারায় মামলা করে। একে একে ৫ জনকেই গ্রেফতার করা হয়। দয়াময় মন্ডলের মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় তার বিচারের প্রক্রিয়া জেলা জুভেনায়েল আদালতে চলে যায়। পুলিশ সব তথ্য ও প্রমান আদালতে জমা দেয়। তবে ৫ জনই জামিন পেয়ে যায়। এরমধ্যে দয়াময় মন্ডলের মা মারা যান।

২০০৭ সাল থেকে চলা এই মামলায় ঘটনার ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শী সহ মোট ১৩ জন বিচারকের কাছে সাক্ষ্যদান করেন।
বুধবার এই মামলার সরকারি আইনজীবী স্বরাজ ( বাচ্চু) চট্টোপাধ্যায় বলেন, সবকিছুর শেষে এদিন অতিরিক্ত জেলা জজ (২) শরণ্যা সেন প্রসাদ খুনের মামলায় দয়াময় মন্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। দুজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন। আগামী শুক্রবার বিচারক রায় ঘোষণা করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *