ASANSOLBengali NewsHealth

জেলার সব রোগীরা পাবে ঔষধ, আসানসোল জেলা হাসপাতালে চালু হলো থ্যালাসেমিয়া আউটডোর

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোলঃ আসানসোল জেলা হাসপাতালে শুক্রবার থেকে চালু হলো থ্যালাসেমিয়া আউটডোর। এবার থেকে সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার এই থ্যালাসেমিয়া আউটডোর খুলবে। জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবনে এই আউটডোর করা হয়েছে। তবে জায়গায় অভাবে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড আপাততঃ চালু করা হচ্ছে না। তবে রোগীদের কথা ভেবে হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডেই থ্যালাসেমিয়া বেড রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস শুক্রবার জানিয়েছেন। আগামী দিনে থ্যালাসেমিয়া ওয়ার্ড চালু করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


জেলা হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া ইউনিটের ইনচার্জ হয়েছেন ডাঃ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়। প্রতি শুক্রবারের আউটডোরে চিকিৎসক হিসাবে থাকবেন ডাঃ অমিত মন্ডল।
জানা গেছে, জেলা হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের কথা ভেবে “এইচপিএলসি” ও “ফেরিটিন” নামে দুটি মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এইচপিএলসি মেশিনের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখা হবে কারা থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। আর ” ফেরিটিন ” মেশিনে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে দেখা হবে তার রক্তে কি পরিমাণ আয়রন আছে। তা দেখার পরেই চিকিৎসক তাকে ঔষধ দেবেন। এই দুটি পরীক্ষা বাইরে প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবে করা খুবই ব্যয়বহুল। জেলা হাসপাতালে এই পরীক্ষা চালু করা গেলে রোগীর পরিবারের অনেক সুবিধা হবে বলে ডাঃ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ২৮০ জনের মতো থ্যালাসেমিয়া রোগীর নাম জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে নথিবদ্ধ আছে। যাদেরকে আমরা নিয়মিত ভাবে রক্ত দিয়ে থাকি। জেলা হাসপাতালে যে আউটডোর এদিন থেকে চালু হলো, সেখান থেকে জেলার সব থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ঔষধ দেওয়া হবে। কোথাও তাদের যেতে হবে না।
জেলা হাসপাতালে আউটডোর চালু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন থ্যালাসেমিয়া রোগী থাকা পরিবারের সদস্যরা। তাদের কথায়, এবার আমাদের ঔষধ নিতে অন্য জেলার হাসপাতালে যাওয়ার দুর্ভোগ বন্ধ হলো।
প্রসঙ্গতঃ, আগে এই আসানসোল ও দূর্গাপুরের থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ঔষধ আনতে বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *