ASANSOLASANSOL-BURNPUR

বার্ণপুরের পরিত্যক্ত হোটেলের ভেতর থেকে কুলটির যুবকের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১০ জানুয়ারিঃ একটি পরিত্যক্ত হোটেলের ভেতর থেকে এক যুবকের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের নাকড়সোঁতা এলাকায়। আসানসোলের কুলটি থানার গাঙ্গুটিয়ার বাসিন্দা মৃত মানুষের নাম পিন্টু মাঝি (২৫)। হিরাপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত যুবকের দাদা মিলন মাঝিকে পুলিশ থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যে হোটেল থেকে মৃতদেহটি পুলিশ পায় সেটি পুলিশ সিল করে দিয়েছে। সোমবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হবে বলে পুলিশ জানায়।


আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এক আধিকারিক এদিন বলেন, ময়নাতদন্ত না হলে জানা যাবেনা যে, ঐ যুবকের ঠিক কি কারণে মৃত্যু হয়েছে। যুবকের শরীরের উপরের অংশটা পুড়ে গেছে। পড়ে থাকা জামা ও হাফ প্যান্ট আগুনে পুড়েছে। তবে কোমরের নিচের অংশ পোড়েনি। যে হোটেলের ভেতরে যুবককে এদিন উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ঘরে আগুন জ্বালানোর চিহ্ন পাওয়া গেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, শনিবার রাতে জঙ্গলে ঘেরা ঐ হোটেলের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে হয়তো, ঐ যুবক ও তার সঙ্গীরা আগুন পোহাচ্ছিলো। সেই আগুন থেকে যুবকের গায়ে আগুন লেগে যায়।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলটি মোড়ে পিন্টু মাঝির দাদা মিলন মাঝির একটা সবজির দোকান আছে। মিলন পুলিশকে বলেছেন, পিন্টু সকালে তার দোকানে থাকতো। পরে সে বার্ণপুরে চলে আসতো। রাতে বাড়ি আসতো না। কি কাজ সে করতো তা মিলন মাঝি জানতো না। তবে সে শুনেছে, ভাই বার্ণপুরের ইস্কো কারখানা থেকে লোহা চুরি করতো। সেই চুরির জন্য সিআইএসএফের হাতে সে বেশ কয়েকবার ধরা পড়েছে। মিলন জানায়, এদিন সকালে সে যখন বাড়ি ছিলো না, তখন দুজন বাড়িতে এসে বলে যায়, পিন্টুর পা ভেঙ্গেছে। পরে সকাল এগারোটার সময় সে ঐ হোটেলে আসে ও দেখে ভাই মৃত অবস্থায় পড়ে। এরপর সে আশপাশের লোকেদের জানায়। হিরাপুর থানার খবর দেওয়া হলে পুলিশ সেখানে আসে। পুলিশ মৃতদেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে।

Leave a Reply