ASANSOL

জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে বাধা নয় : শীর্ষ আদালত

বেঙ্গল মিরর, স্পেশাল রিপোর্ট, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : এবার জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে বাধা প্রদান করা যাবে না বলে জানাল শীর্ষ আদালত । দেবেশ সাহা নামে প্রাক্তন বিচারপতি ২০১৮ সাল নাগাদ শীর্ষ আদালতে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা করেন এবং ২৩ শে ডিসেম্বর তার রায় বের হয় । এই মামলার আইনজীবী কল্যাণকুমার চক্রবর্তী সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান , প্রাক্তন বিচারপতি দেবেশ রায়ের জনস্বার্থ মামলা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে গৃহীত হবার পর বেশ কয়েক ধাপে এই মামলার শুনানি হয় । ২৩ ডিসেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব রায়ের বেঞ্চে ওই জনস্বার্থ মামলার রায় বের হয় । উল্লেখযোগ্যভাবে ওই রায়ে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে কোনোমতেই বাধা প্রদান করা যাবে না বলে জানানাে হয় । জমিদাতাদের কোনও অভিযােগ থাকলে জেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে ।
এরই সঙ্গে বারাসাত এবং জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য দ্রুত জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়ার অগ্রগতি যাতে হয় সে ব্যাপারে উত্তর ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন এবং ওই সমস্ত জেলার পুলিশ সুপারকে কে বলেছেন যাতে সুষ্ঠুভাবে জমি হস্তান্তর হয় সে ব্যাপারে যথাযথ সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

এছাড়া তিনি আরও বলেন , “ বারাসাত থেকে বারবিশা পর্যন্ত দীর্ঘ ৭৮০ কিলােমিটার রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ ২০০১ সাল নাগাদ শেষ করার কথা থাকলেও তা এখনও শেষ হয়নি । ফোর লেনের সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন হলে প্রতিবেশী রাজী অসম এবং প্রতিবেশী দেশ ভুটানের মতো দেশের সঙ্গে যােগাযােগের সুবিধা হবে । এতে ব্যবসা – বাণিজা থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে । ‘ কিন্তু আলিপুরদুয়ারে সলসাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত প্রায় ৪১ কিলােমিটার রাস্তার কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে । বিশেষ করে সলসাবাড়ি , চাপরেরপাড় এবং চেংপাড়া মৌজায় বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয় । স্থানীয় প্রশাসনের সহযােগিতা না পেলে এখানে ফোর লেনের কাজ করা সম্ভব নয় বলে তিনি কি জানান । এছাড়া কোচবিহার জেলার ক্ষেত্রেও ওই একই সমস্যার কথা উঠে এসেছে । আইনজীবী কল্যাণকুমার চক্রবর্তী আরও জানান রায়ে জেলা প্রশাসনের গাফিলতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে । সলসাবাড়ি থেকে সােনাপুর পর্যন্ত রাস্তার কাজ থমকে রয়েছে । জমিদাতারা বেশিরভাগ জমির নির্ধারিত মূল্য পেয়েছেন । এছাড়া সলসাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত প্রায় ৪১ কিলােমিটার রাস্তার ক্ষেত্রে সরকারি রেকর্ডে জমি অধিগ্রহণ দেখালেও বাস্তবে জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি । ওই রায়ে জেলা প্রশাসনের গাফিলতির অভিযােগ রয়েছে বলে তিনি জানান । এদিকে এবিষয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের অতিরিক্ত শাকে জেলা শাসক প্রণব কুমার ঘোষের সঙ্গে ফোনে যােগাযােগ করা যায়নি। এখন শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর রাজ্য প্রশাসন জাতীয় সড়ক সপ্রসারনের জন্য জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কতটা তৎপর হয় সেদিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *