ASANSOL

Coal পাচার মামলায় কোমর বাঁধছে CBI,নদীর নিচ থেকে কয়লা তুলে নিয়েছে মাফিয়ারা

তদন্ত করতে এসে শুনলেন সিবিআইয়ের ডিআইজি

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২ ফেব্রুয়ারিঃ নদীর নিচে থাকা কয়লাকেও রেহাই দেয়নি কয়লা মাফিয়ারা! বেপরোয়া বা অবৈঞ্জানিকভাবে কয়লা কেটে নেওয়ায় সেই নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে, তাই নয়। নদীর গভীরতাও বেড়ে গেছে। প্রাণের ঝুঁকি থাকা সত্বেও কয়লা মাফিয়ারা এইভাবেই কয়লা তুলে অবাধে তা পাচার করেছে। মঙ্গলবার ইসিএলের বিভিন্ন কোলিয়ারি এলাকায় তদন্ত করতে এসে খনি বিশেষজ্ঞ দলের কাছ থেকে এইসব শুনলেন সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিং।

সিবিআইয়ের তদন্তে মুল লক্ষ্য ইসিএলের কেন্দা, কুনুস্তোরিয়া ও কাজোড়া এরিয়া


জানা গেছে, বেআইনি কয়লা পাচারের মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তে মুল লক্ষ্য ইসিএলের কেন্দা, কুনুস্তোরিয়া ও কাজোড়া এরিয়া। এই কয়লা কাণ্ডের কিনারা মুল চক্রীদের খোঁজ পেতে সোমবারের পরের মঙ্গলবারও কয়লাখনিতে আসে সিবিআইয়ের দল। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের খনি বিশেষজ্ঞরা। খনি বিশেষজ্ঞ ও সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা আগামী দিনে প্রয়োজন হলে কয়লা খনিতে নেমেও তদন্ত করবেন বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর। সিবিআই ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে এই অভিযান চলবে বলে জানা গেছে ।


পশ্চিম বর্ধমান জেলার ইসিএলের লিজ হোল্ড এলাকায় থাকা কয়লাখনি থেকে ঠিক কত পরিমাণ কয়লা চুরি হয়েছে তা জানতে এবার খনিতে নেমে তদন্ত করতে চাইছে সিবিআই। প্রথম দফায় সোমবার পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডাল থানা এলাকার কাজোরা এরিয়ার হরিশপুর, লছিপুর ও টপলাইন এলাকায় ৩০ জনের একটি দল পরিদর্শনে এসে তদন্ত চালায়।


মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের ডিআইজির নেতৃত্বে থাকা দলটি অন্ডাল, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জর বেশ কয়েকটি খনিতে আসে। তখনই খনি বিশেষজ্ঞরা এলাকার সিঙ্গারন নদীর পাশে দাঁড়িয়ে সিবিআইয়ের ডিআইজিকে বলেন, এই নদীর নিচে থাকা কয়লাও তুলে নেওয়া হয়েছে। তখন ডিআইজি অখিলেশ সিং জানতে চান, নদীতে জল আছে। তাহলে কি করে তা হয়েছে? তখন খনি বিশেষজ্ঞরা বলেন, তখন জল কম ছিলো। পরে নদীর গভীরতা বেড়ে যায় ও গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে আসা খনি বিশেষজ্ঞ দল

ডিআইজিকে তারা বলেন, নদী ও তার আশপাশের জমির মাপ করা হয়ে গেছে।
ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে আসা খনি বিশেষজ্ঞ দলটি সিবিআইয়ের সঙ্গে খনিতে নেমে বিশেষ পদ্ধতিতে মাপজোক করবে বলে জানা গেছে। কত পরিমাণ কয়লা বেআইনিভাবে খনি থেকে তোলা হয়েছে তার একটা হিসাব পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাদের মত, এই সমীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে ঠিক কত দিন ধরে চুরি হয়েছে কয়লা।


সিবিআইয়ের বক্তব্য, এই মামলার তদন্তের জন্য এই সমীক্ষা হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী । কারণ, কত পরিমাণ কয়লা চুরি হয়েছে তার হিসেব পেলেই জানা যাবে, কত কোটি টাকার কারবার রয়েছে কয়লা মাফিয়াদের। সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য সিবিআই জানাবে আদালতকেও।


পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল, ও দূর্গাপুর ইসিএলের লিজ হোল্ড এলাকায় যতগুলি কয়লা খনি থেকে কয়লা চুরি হতো বলে সিবিআইয়ের কাছে খবর আছে , প্রত্যেকটিতে চলবে সমীক্ষা ও মাপের কাজ।


তবে এদিন সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিং, তদন্ত নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, তদন্ত করতে এসেছি। তা চলছে।

Leave a Reply