ASANSOLBengali News

আইনজীবী অসুস্থ, এনামুলের জামিনের শুনানি হলো পরবর্তী দিন ১ মার্চ

লালা ও রত্নেশের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২০ ফেব্রুয়ারিঃ এবারেও জামিন হলোনা গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে থাকা এনামুল হকের। শনিবার সকালে নির্দেশ মতো আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক জয়শ্রী বন্দোপাধ্যায়ের এজলাসে গরুপাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হককে পেশ করা। তখন তার
পক্ষের আইনজীবী শেখর কুন্ডু বিচারকের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেন, তিনি, শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই এদিন তিনি শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না। তার আবেদন, বিচারক যেন অন্য কোন দিন শুনানির জন্য ঠিক করেন। এরপর বিচারক এনামুলের জামিন নাকচ করে দিয়ে তাকে আবার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১ মার্চ । সেদিন আবার এনামুলকে বিচারকের সামনে পেশ করা হবে। এক ঘন্টা পরে এনামুল হককে আবার আদালত থেকে আসানসোল জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।


এদিন শেখর কুন্ডু নিজে এদিন বিচারকের কাছে আবেদন ও তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক কি নির্দেশ দেন, তা জানান।


এনামুল হকের আইনজীবী শেখর কুন্ডু এই মামলায় সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিট নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটকে অসম্পূর্ণ বলেও দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গতঃ গত ৮ ফেব্রুয়ারি আসানসোল সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই৷ সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে পুরানো চারজনের সঙ্গে নতুনকরে আরো তিনজনের নাম যুক্ত করা হয়েছে।

गौ तस्करी CBI चार्जशीट


এই মামলার অন্য এক অভিযুক্ত বিএসএফের কম্যান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকেও সিবিআই গ্রেফতার করেছিলো। আপাততঃ সতীশ কুমার জামিনে বাইরে আছেন । এনামূল হক, সতীশ কুমার, গুলাম মুস্তাফা ও আনারুল শেখ সহ আরও তিনজনের নাম রয়েছে সিবিআইয়ের চার্জশিটে। সেই তিনজন হলেন এনামুল হকের স্ত্রী ও সতীশ কুমারের স্ত্রী ও শ্বশুর।


উল্লেখ্য গত ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পন করেছিল এনামুল হক। তারপর থেকে সে জেল হেপাজতেই রয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়া না হলে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার এনামুলের জামিন পাওয়া একবারে নিশ্চিত ছিল। সেই জামিন আটকাতেই ঠিক ৬০ দিনের মাথায় আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।


অন্যদিকে, কয়লা পাচারের মামলায় ফেরার থাকার জন্য অনুপ মাজি ওরফে লালা ও তার সঙ্গী রত্নেশ ভার্মা তাদের বিরুদ্ধে হওয়া হুলিয়া ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি খারিজ করার জন্য আসানসোল সিবিআই আদালতে আবেদন করেছিলো। এদিন শেখর কুন্ডু বলেন, বিচারক জয়শ্রী বন্দোপাধ্যায়, সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। গত ১১ জানুয়ারি সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক এই দুজনের নামে হুলিয়া ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

বিনয় মিশ্রকে এবার ফেরার ঘোষণা


এদিকে, এই গরু ও কয়লা পাচারের মামলায় তৃনমুল যুব কংগ্রেসের নেতা বিনয় মিশ্রকে এবার ফেরার ঘোষণা করলো আসানসোলের সিবিআই আদালত। এই মর্মে সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নোটিশ জারি করেছে। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, বিনয় মিশ্রর বাড়িতে সেই নোটিশ লাগানোও হয়েছে। বিচারক নির্দেশে বলেছেন, আগামী ২২ মার্চের মধ্যে তাকে হাজির হতে হবে। তা না হলে, তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

Leave a Reply