ভাষা দিবসের আগের রাত্রি থেকেই শুরু হলো ভাবনার উদ্যোগে অভিনব অনুষ্ঠান রুপনারায়নপুরে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল: রাজ্যের মধ্যে সম্ভবত একমাত্র পশ্চিম বর্ধমান জেলার রুপনারায়নপুর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতি বছরের মতো এবারও বিশে ফেব্রুয়ারির রাত্রি নটায় শুরু হয় এবং তা একুশে ফেব্রুয়ারি ভোররাতের কাছাকাছি গিয়ে শেষ হয়। এবারেও ভাবনা নামে সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে এই উৎসবে শামিল হয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন রুপনারায়নপুরের শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি এবং পুলিশ আধিকারিকরা ।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা স্মারককে ফুল দিয়ে সাজিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে পুষ্পস্তবক দেওয়া হয় । একইসঙ্গে তাদের স্মরণে মোমবাতি জালানো হয়। শুরুতে এবং শেষে গাওয়া হয় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সংগঠনের সভাপতি এবং সমাজকর্মী ও বিশিষ্ট সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাহিত্যিক বাসুদেব মন্ডল রাজা চট্টোপাধ্যায় সঙ্গীতা বোসরা।
এখানে পুষ্পস্তবক দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে এবং বাংলা ভাষাকে সমস্ত স্তরের বাঁচিয়ে রাখার জন্য আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সহকারী পুলিশ কমিশনার ওমর আলী মোল্লা । একইভাবে বাংলা ভাষা ব্যবহারের পাশাপাশি অন্য ভাষার প্রতি সম্মান জানানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য রাখেন সালানপুরের বিডিও অদিতি বসু। একই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ও আবৃত্তি করেন সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলেন রাতে এই ধরনের অনুষ্ঠান বাংলা ভাষার প্রতি এলাকার মানুষ যে কতটা আবেগপ্রবণ তাদের সার্বিক অংশগ্রহণেই তা প্রমাণিত। একই ভাবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই দিনটির গুরুত্ব উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন রুপনারায়নপুর পুলিশ ফাঁড়ির ওসি প্রসেনজিৎ রায় , প্রণব ঘোষ, শিক্ষক মামিকেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় , রবি শংকর কুন্ডু ও রক্তদান আন্দোলনের জেলা সমন্বয় সমিতির সভাপতি তপন মাহাতো সহ আরো অনেকে।
বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী শ্রাবণী চক্রবর্তী কবি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃপ্তি কনুই এবং শিশু শিল্পী আরিত্রিকা চট্টোপাধ্যায় ,সংহিতা বোস, রাজা চট্টোপাধ্যায়ও বক্তব্য রাখেন ।একুশে ফেব্রুয়ারির স্মরণে সংগীতে শতদল গোষ্ঠীর সামগ্রিক ভাবনা এবং অরুন্ধতী চট্টোপাধ্যায়ের সংগীত সহ প্রায় ৬০ জন শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।