ASANSOLBengali NewsRANIGANJ-JAMURIA

পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের ১৩৬ কোটি টাকার বাজেট

বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৪ ফেব্রুয়ারিঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ আগামী আর্থিক বছরের জন্য প্রায় ১৩৬ কোটি টাকার বাজেট পাস হল। এবারের জেলা পরিষদের বাজেটে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই গ্রামীণ এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, পানীয় জলের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।


Subhadra bouri file photo

তেমনিই বাজেটে সামাজিক কাজের দিকেও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন মেলা বা সভায় মোবাইল টয়লেট যাতে পাঠানো যায়, সেই কারনে দশটি মোবাইল টয়লেট কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ।


জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলা শাসক শুভেন্দু বসু বলেন, আইসিডিএস ও মাধ্যমিক স্তরের কিছু কিছু স্কুলে পানীয় জলের এবার ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়া আইসিডিএসের কিছু কিছু এলাকায় ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হচ্ছে। মাত্র দুই টাকার বিনিময় সেখান থেকে ন্যাপকিন কেনা যাবে। পাশাপাশি ব্যবহার করা ন্যাপকিন গুলিকে নষ্ট করার জন্য দূর্গাপুরের সিএমইআরআইয়ের কথা মতো আলাদা যন্ত্রও কেনা হচ্ছে। এবার জেলা পরিষদের নিজস্ব আয় বাড়ানোর উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।

যেমন জেলা পরিষদের অধীনে রানিগঞ্জ,কাঁকসা সহ বেশ কিছু এলাকায় মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরী করা হচ্ছে। সেই কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। যাতে এর মধ্যে দিয়ে কয়েকশো মানুষের কর্মসংস্থান হয়। পাশাপাশি জেলা পরিষদের সেখান থেকে আয় হয়। অন্যদিকে, রুপনারায়নপুর মিহিজাম সীমানায় জেলা পরিষদের আন্তঃরাজ্য রাস্তাটিতে নতুন করে টোলের হার তৈরী করে অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে । এখান থেকে জেলা পরিষদের আয় কিছুটা হলেও বাড়বে। জেলা পরিষদের বর্ধমান ভবনের মতো বেশ কয়েকটি ভবন আছে। যে গুলিকে নতুন করে সংস্কার করে পর্যটকদের রাখার একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরফলে তারা যেমন উপকত হবেন, তেমনি জেলা পরিষদেরও আয়ের একটা সংস্থান হবে।


জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি বলেন, আমরা বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের উপর এই বাজেটে বেশি করে জোর দিয়েছি। গরীব মানুষের কথা ভেবেই বিভিন্ন দপ্তরের ব্যয় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে ২০১৭ সালে এই জেলা পরিষদ চালু হলেও এখানে কর্মীদের শূন্য পদ আছে। সেইসব পদ পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এবারের বাজেটে পরিকল্পনা খাতে আয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ৬ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪৬৩ টাকা। আর এই খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি ৯৫ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। অপরিকল্পিত খাতে আয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৮৮ লক্ষ ২৮ হাজার ৩১০ টাকা ও ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ কোটি ৯৯ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৭৩ টাকা। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৫ কোটি ৯৫ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৭৩ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *