জরায়ুর ক্যান্সার ধরতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে চালু বিশেষ ক্লিনিক
কলপোস্কপির মাধ্যমে স্ক্রিনিং,বসলো অত্যাধুনিক মেশিন
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৩ ফেব্রুয়ারিঃ আসানসোল জেলা হাসপাতালে জরায়ুর ক্যান্সার ধরতে চালু হলো বিশেষ ক্লিনিক। জেলা হাসপাতালের পুরনো গাইনিক ওয়ার্ডে এই ক্লিনিকের জন্য বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ” কলপোস্কপ ” মেশিন। কলপোস্কপির মাধ্যমে জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে এমন রোগীদের চিহ্নিত বা স্ক্রিনিং করা হবে। এর মাধ্যমে যদি কারোর জরায়ুর ক্যান্সার ধরা পড়ে, তাকে চিকিৎসার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে।
সাধারণতঃ জেলা হাসপাতালে এই মেশিন থাকেনা। আসানসোল জেলা হাসপাতালের গুরুত্বর কথা ভেবে স্বাস্থ্য দপ্তর এই মেশিন বসানোর পরিকল্পনা করে। বেসরকারি বড় হাসপাতালে এই পরীক্ষা হওয়ার ব্যবস্থা আছে। যা যথেষ্টই ব্যয়বহুল।
আসানসোল জেলা হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে কলপোস্কপ মেশিন থাকছে। গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলার ব্লক থেকে আসা রোগীদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে এই ক্লিনিকে স্ক্রিনিং করা হবে।
তারজন্য ব্লকের সিএইচও বা কমিউনিটি হেল্থ অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আপাততঃ জেলা হাসপাতালের দুই সিনিয়র গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ তপন বন্দোপাধ্যায় ও ডাঃ মনোজিৎ দাস এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করছেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে জেলা হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিভাগের সব চিকিৎসকই ক্লিনিকে বসবেন।
জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস এদিন বলেন, এই মেশিন বসানোয় এই জেলার মানুষদের সুবিধা হবে। প্রাথমিক ভাবে এই মেশিনের সাহায্যে রোগীদের স্ক্রিনিং করা হবে। সবকিছুই সরকারি ভাবে করা হবে।
স্ত্রী রোগ বিভাগের চিকিৎসকরা এই প্রসঙ্গে বলেন, ৩০ বছরের উর্ধ্বের মহিলাদের এই মেশিনের সাহায্যে স্ক্রিনিং করা হবে। মহিলাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী রোগ বা গাইনিক নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরী হয়। যা থেকে পরবর্তী সময়ে অনেকেরই জরায়ুতে ক্যান্সার দেখা দেয়। একবারে প্রথমে খালি চোখে তা ধরা পড়ে না বা বোঝা যায় না। চিকিৎসকরা বলেন, কলপোস্কপির সাহায্য আমরা সিমটোম বা শারীরিক সমস্যা দেখে রোগীদের পরীক্ষা করবো। তখনই ধরা পড়বে তার জরায়ুর ক্যান্সার হবে কিনা। যদি এখানে স্ক্রিনিংয়ে ধরা পড়ে তাহলে সেই রোগীকে আমরা পরবর্তী চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠাবো।